অনেকেই মনে করেন, আলুতে বোধহয় কোনও পুষ্টি উপাদান নেই। তবে এই ধারণা সর্বৈব ভ্রান্ত। কারণ এই সবজিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ভিটামিন বি৬-এর ভাণ্ডার। এমনকী এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বও রয়েছে। তাই দেহে পুষ্টি এবং এনার্জির ঘাটতি মিটিয়ে দেওয়ার কাজে আলুর জুড়ি মেলা ভার। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত আলু খেতেই পারেন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
এই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, ১০০ গ্রাম আলুতে রয়েছে প্রায় ৮৫ ক্যালোরি। এমনকী এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও অনেকটাই বেশি। তাই প্রতিদিন কাড়িকাড়ি আলু খেলে যে ওজন বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য।
তবে দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রামের মতো আলু খেলে তেমন বড় কোনও ক্ষতি হবে না। তাই ওজনের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলুন।
শুধু আলুর তরকারি বা কাড়ি কাড়ি আলু ভাজা, আলু ভাতে খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। তাই এবার থেকে অন্যান্য সবজির সঙ্গে আলু মিশিয়ে একটা লোভনীয় পদ রেঁধে ফেলুন। তাতেই দেহে ফাইবারের ঘাটতি মিটে যাবে। আর সেই সুবাদে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না। তাই ওজনকে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বেঁধে রাখতে নিয়মিত পাঁচমিশালি পদ খাওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আলু এবং রাঙা আলুর মধ্যে ক্যালোরিগত খুব একটা তফাত নেই বললেই চলে। তাই ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইলে আলুর মতোই রাঙা আলুও কম পরিমাণে খেতে হবে। তবে কেউ চাইলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এইসব সবজি খেতেই পারেন। তাতেই উপকারই পাবেন হাতেনাতে। এমনকী দেহে পুষ্টির ঘাটতিও মিটে যাবে।
সুগার রোগীর এইচবিএ১সি লেভেল ৭-এর নীচে থাকলে তাঁরা নিশ্চিন্তে দিনে এক টুকরো আলু খেতে পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এইচবিএ১সি লেভেল ৮ বা ৯-এর উপরে থাকলে আলু না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে সুগার আরও বাড়বে বই কমবে না। তাই সুস্থ থাকতে অবশ্যই এই নিয়মটা মেনে চলুন।