দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পেঁয়াজ হল বহুগুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস যৌগ কোলেস্টেরল-সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া পেয়াঁজের মধ্যে থাকা কোয়ারসেটিন কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে রাখে সুস্থ। আসুন বিশদে জানি পেঁয়াজের গুনাগুণ।
সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয় তার বেশিরভাগই হয়ে থাকে কোলেস্টেরলের জন্য। আমাদের শরীরে যে কোলেস্টেরল তৈরি হয় তার ৭০% আসে কিডনি থেকে আর ৩০% আসে খাবারের থেকে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে তা রক্ত চলাচলের পথকে বন্ধ করে বিপদ ডেকে আনে। এই ঝুঁকি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় খাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ অথবা সঠিক খাবারের নির্বাচন। এমনই একটি উপাদান হল পেঁয়াজ।
হার্টের রোগীদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সিদেরও এই সমস্যায় ভুগতে হয়। খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বাতিলের খাতায় রাখতে হচ্ছে তাদের প্রিয় খাবারগুলি। তবে, রান্নাঘরে থাকা এই উপাদান আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে।
আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, ভালো ও খারাপ। খারাপ কোলেস্টেরলই যত সমস্যার কারণ। কোলেস্টেরল হল মোম জাতীয় পদার্থ। শিরায় জমে গিয়ে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। তখনই ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে পেঁয়াজে এমন কিছু উপাদান আছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। আসলে পেঁয়াজে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক উপাদান। এই উপাদান প্রদাহ দূর করে ধমনীকে করে তোলে শক্তিশালী। ফলে সেরে যায় হার্টের রোগ। অনেকে মুড়ি, ভাত, এমনকী ফাস্ট ফুডের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। তবে চিকিৎসকেরা কাঁচা পেঁয়াজের পরিবর্তে পেঁয়াজের গুড়ো বেশি ব্যবহার করতে বলেন।
যত খুশি তত পেঁয়াজ খাওয়া হলে সমস্যা নাই কিন্তু! কারণ, পেঁয়াজ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কোষের ডিএনএকে নষ্ট করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই চিকিৎসকেরা প্রতিদিন ১টি করে পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চিনে কয়েকটি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়। তাদের দেওয়া হয় পেঁয়াজের গুড়ো। কিছুদিন পরে দেখা গিয়েছে, তাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০% বেড়েছে। শুধু কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে নয় চুল, ত্বকের জৌলুস বাড়াতে, এমনকী যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ এক কথায় অনবদ্য। তবে যে কোনও এক্সপিরিমেন্ট করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ আগে নেওয়া জরুরি।