দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বসন্ত কালে শিশুদের চিকেন পক্স হতে বেশি দেখা গেলেও এখন আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুদের ক্ষেত্রে এ যেন এক নিত্যনৈমিত্তিক অসুস্থতা। চিকেন পক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে এক রোগ যা শিশু ও বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এই রোগকে আবার অনেকে গুটি বসন্ত বা জল বসন্তও বলে। মূলত এই রোগ ভাইরাসঘটিত। তাই ঠিকঠাক চিকিৎসা ও নিয়ম মেনে চলা অবশ্য পালনীয় এক কর্তব্য।
কিভাবে বুঝবেন চিকেন পক্স হয়েছে?
এই রোগ হলে প্রথমে কিছুটা বুঝতে সময় লাগতে পারে আপনার। প্রথমে মশার কামড়ের মত দানা দানা বেরোয় শিশুর শরীরে। তারপর দেখতে লাগে কিছুটা ঘামাচির মত। একসময় ফুসকুড়ির মত হয়ে উঠে ছড়িয়ে পড়ে সাড়া শরীরে। এবং ক্রমে শরীর দুর্বল হয়ে ওঠে। সাধারণত বুকে এবং পিঠেই র্যাশ বেশি উঠতে দেখা যায়। তবে মুখ, মাথা, হাত ও পায়ের তালুতে এমনকি চোখেও উঠতে পারে।
চিকিৎসার উপায়
এই রোগ হলে সবার আগে যে বিষয়টা মেনে চলতে হয়, তা হল নিয়ম। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চললে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই চিকেন পক্স সুস্থ হয়ে যায়।
শিশুকে বাইরে বেরোতে দেওয়া চলে না । বাইরের আবহাওয়ার সংস্পর্শে এলে পক্স শুকাতে সময় লাগে।
কেন পক্সে সাধারণত বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োজন হয় না। তবে চিকেন পক্স হলে শরীর খুব চুলকায় সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়াতে পারেন। এ ছাড়াও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া সব পক্স বের হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হোমিও কিংবা ইউনানি জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে পারেন।
চিকেন পক্স হলে সেপসিস, এনকেফালাইটিস, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এসবের চিকিৎসাও করানো প্রয়োজন।
ওই সময় শিশুকে কি খাওয়াবেন?
এইসময় শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে যায় তাই শরীরের চাই প্রোটিন যুক্ত খাবার। শিশুর খাওয়ারে মাছ যেমন কই, শিঙি রাখা যেতে পারে। দুধ দিতে পারেন নিয়ম করে। ছানা জাতীয় প্রোটিনও খাবারে সংযুক্ত করতে পারেন। তবে মুসুর ডাল, ডিম, বেগুন, চিংড়ি মাছ জাতীয় খাবার না দেওয়াই ভালো।
কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
১. শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।
২. পরিষ্কার কাপড় পরাতে হবে।
৩. র্যাশ ঝরা শুরু করলে এগুলো যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করুন।
৪. খোসা এমনিতেই না উঠলে নখ দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে শরীরে দাগ হয়ে যেতে পারে।প্রতিরোধ।