Health

1 year ago

Smoking Hookah Side Effects:হুকায় ক্ষতি সিগারেটের চেয়েও বেশি

hokka
hokka

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমরা আবার যেন ফিরে যাচ্ছি ৩/৪ শো বছর আগের জমিদারি যুগের দিকে। তাই সমাজে হঠাৎ করে 'হুক্কা' ও 'হুক্কা বারের' সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,তামাকজাত যেকোনো নেশার থেকে হুক্কা অনেক বেশি ক্ষতিকারক। তারা বলেন,একঘন্টা হুঁকো খাওয়া ১০০ টি সিগারেট খাওয়ার সমান। শহুরে মানুষ এই ধোঁওয়ায় সুখটান দেওয়াকে যতই কায়দা করে হুক্কা বলুক না কেন তা আদতে ঠাকুর দাদার গড়গড়া। আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে জমিদার বাড়িতে হুঁকো খাওয়ার রীতি ছিল। রাজা-জমিদাররা এই হুঁকোতে টান দিয়েই নিজেদের আভিজাত্য বজায় রাখতেন। তারপর মাঝের বেশ কিছু বছর এই তামাকের নেশা থেকে দূরে ছিলন মানুষ। কিন্তু তারপর আবার বাণিজ্যের লোভে একদল ব্যবসায়ী নতুন জেনারেশনের মধ্যেঢুকিয়ে দিচ্ছে হুক্কার নেশা।

 হুক্কায় উপাদান হিসেবে কাঠকয়লা, তামাক এবং অন্যান্য উপাদন ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানের মধ্যেই মেশানো থাকে বিভিন্ন ফ্লেভার। পাইপ দিয়ে যখন তা টানা হয় তখন সরাসরি ফুসফুসে সেই ধোঁওয়া যায়। এই ধোঁওয়ার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড। থাকে অন্যান্য ভারী ধাতুও। আর তা ফুসফুসের স্নায়ুর অনেক ক্ষতি করে। নিয়মিত ভাবে হুক্কা খেলে ফুসফুসের ক্যানসার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এবং অন্যান্য সমস্যাও বাড়তে পারে। মনে রাখতে হলে যে যুগে হুক্কার খুব প্রচলন ছিল সেই যুগে এর নেশার কারণে বহু মানুষ টিভি ও ক্যান্সারে মারা যেতেন। আর এই হুক্কা হার্টের জন্যেও খুব ক্ষতিকারক। হুক্কার ধোঁওয়ার মধ্যে নিকোটিন থাকে। যা হৃদস্পন্দন আর রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে হৃদরোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। হুক্কা থেকে যে সব ক্ষতিকারক রায়াসনিক পদার্থ বেরোয় তা ফুসফুসের ক্ষতি করে, ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে হার্টের উপর প্রচুর চাপ পড়ে।

 হুক্কা বারের অনুমোদন নিয়ে ইতিমধ্যে কোলকাতা পৌরসভার সঙ্গে আদালতের এক প্রস্থ বিতর্ক হয়ে গেছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে হুক্কা বার বন্ধ করা যায় নি।অথচ বিষজ্ঞরা বলছেন, হুক্কা আমাদের মৌখিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত হুক্কা খেলে মুখের স্বাভাবিক লালাগ্রন্থি শুকিয়ে যায়, মুখ সব সময় শুষ্ক হয়ে থাকে। যেখান থেকে মুখে দুর্গন্ধ, মাড়ির সমস্যা, মাড়িতে ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, দাঁতের ক্ষয় এসব তো হয়ই। এর পাশাপাশি ফুসফুস বা মুখের ক্যানসার, খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং কোলনের ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই আইন করে নয়,সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেই হুক্কা বন্ধ করতেই হবে।

You might also like!