Entertainment

4 months ago

Arshad Warsi:হঠাৎ আরশাদকে নিয়ে এত বিতর্ক কেন

Arshad Warsi
Arshad Warsi

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ-: বলিউডে সুঅভিনেতা হিসেবে পরিচিতি আছে আরশাদ ওয়ার্সির। তবে সিনেমা নয়, এবার এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে বিতর্কের কেন্দ্রে অভিনেতা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল ‘আনফিল্টার্ড বাই সমদীশ’ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আরাশদ, সেই সাক্ষাৎকারে তাঁর কিছু মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের  সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সমদীশ অভিনেতার কাছে জানতে চান, তাঁর দেখা সর্বশেষ হিন্দি সিনেমা কোনটি? উত্তরে আরশাদ জানান, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। সঙ্গে এটিও জানান, ছবিটি তাঁর ভালো লাগেনি। এর ব্যাখ্যাও দেন তিনি।

আরশাদের মতে, ছবিটিতে প্রভাসকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা তাঁর ভালো লাগেনি। তাঁর মতে, এ সিনেমায় প্রভাসকে ‘জোকার’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পর থেকেই প্রভাসের ভক্তরা আরশাদকে ধুয়ে দিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, আরশাদ নাকি প্রভাসকে জোকার বলেছেন। এখানেই শেষ নয়, এ বিতর্কে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণি তারকারাও। এমনকি আলোচিত দক্ষিণি তারকা নানি পর্যন্ত আরশাদ ওয়ার্সির সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তবে প্রভাসকে নয় বরং তাঁকে সিনেমায় যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটার সমালোচনা করেছেন আরশাদ—সেটা অনেকে বুঝতে পারেননি। যদিও এ নিয়ে প্রভাস নিজে কিছু বলেননি।

এখানেই শেষ নয়, আরশাদ আরও মন্তব্য করেন বনি কাপুরকে নিয়ে। ১৯৯৩ সালে অনিল কাপুর-শ্রীদেবী অভিনীত ‘রূপ কী রানি চোরো কা রাজা’ ছবির একটি গানের কোরিওগ্রাফি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন আরশাদ। ওই ছবি প্রযোজনার দায়িত্বে ছিল বনি কাপুরের প্রযোজনা সংস্থা।

যাহোক, চিত্রনাট্য বুঝে নিয়ে সব হিসাব–নিকাশ আরশাদ বনির প্রযোজনা সংস্থাকে জানান, ওই গানের দৃশ্যের শুটিং শেষ করতে মোট চার দিন লাগবে আর পারিশ্রমিক হিসেবে ১ লাখ রুপি নেবেন তিনি। এরপর বনির প্রযোজনা সংস্থার তরফে অনুরোধ করা হয়, সময় হাতে বেশি নেই, তাই আরশাদ যেন চারের বদলে তিন দিনের মধ্যে শুটিং শেষ করেন। রাজি হয়ে যান ‘সার্কিট’। দিন-রাত এক করে, হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে তিন দিনের মাথায় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নাচের ভঙ্গি শিখিয়ে, ছবির ওই গোটা গানের দৃশ্য শুট করে ফেলেন আরশাদ।

কিন্তু আসল চমকটা তোলা ছিল তখনো। নির্দিষ্ট দিনে পারিশ্রমিক নিতে বনির প্রযোজনা সংস্থার দপ্তরে হাজির হন আরশাদ। চেক আসে। আরশাদ দেখেন তাঁকে ১ লাখের বদলে দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার রুপি। স্বভাবতই তিনি জিজ্ঞেস করেন যে কেন ২৫ হাজার টাকা কাটা হলো। জবাব আসে, যেহেতু চার দিনের বদলে তিন দিনে শুটিং শেষ করেছেন আরশাদ, তাই প্রতিদিনের ২৫ হাজারের হিসাবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার রুপি। শুনে হাঁ হয়ে যান আরশাদ। অভিনেতা জানান, যেহেতু সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিতে বেশির ভাগ কাজ মৌখিক চুক্তি মেনে নিয়ে হতো, তাই অনেকের অনেক টাকা মার গেছে। এ রকম প্রতরণা নাকি হামেশাই চলত।  

You might also like!