দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির রাজপথে তখন কৃষকদের স্রোত, উত্তাল ছিল দেশ। ঠিক সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্যে বিতর্ক ডেকে আনেন কঙ্গনা রানাউত। বহু বছর পর এবার সেই টুইট নিয়েই আদালতের সামনে বিনয়ী সুরে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন তিনি।কৃষক বিক্ষোভে শামিল হওয়া এক বৃদ্ধাকে তিনি ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানো বলেও ব্যাখ্যা করেন। পাঁচ বছর পর সেই ঘটনার জন্য এবার ভাতিন্দা আদালতে ক্ষমা চাইলেন কঙ্গনা।
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বলেন, “আজ ভাতিন্দায় আসার পর আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভক্তরা এখানে ভিড় করেছেন। কৃষক আন্দোলনের সময় একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি মাতাজির (বৃদ্ধা) স্বামীকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই পোস্টটি একটি রিটুইট ছিল, যেটি সাধারণ মিম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। আমি মাহিন্দরের (বৃদ্ধা) স্বামীর সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনাও করেছি। সেই সময় দেশব্যাপী একাধিক প্রতিবাদ হয়েছিল। কেউ একজন ওই মিমের নিচে কমেন্ট করেছিলেন। এর জেরেই বিতর্ক তৈরি হয়। এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি।”
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই কৃষক বিদ্রোহের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। একের পর এক টুইট করেন তিনি। সেই সময় কৃষক আন্দোলনে শামিল হওয়া মাহিন্দর কৌর নামে এক বৃদ্ধার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকেই তাঁকে ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানো বলে ব্যাখ্যা করেন। কঙ্গনাও একই কাজ করেন। সেই ছবি টুইটারে শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘হা! হা! ইনি তো সেই দাদি, যাঁকে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এঁকে তো ১০০ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যায়।’ কঙ্গনার ওই টুইটের তীব্র প্রতিবাদ করেন নেটিজেনরা। সেই ঘটনার পাঁচ বছর পর অবশেষে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী।
