কলকাতা, ১১ জানুয়ারি : সমস্ত তীর্থস্থানের সঙ্গম হল গঙ্গাসাগর এবং সে জন্যই সমগ্র ভারত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন পুণ্যস্নান করতে, এই ভাবনা ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ শ্রী অজয়েন্দ্রনাথ ত্রিবেদী, যিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজিত ৪৮-তম গঙ্গাসাগর মেলা সেবা শিবির সমারোহের সভাপতিত্ব করেছেন। প্রধান বক্তা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দক্ষিণ প্রান্ত প্রচারক শ্রী প্রশান্ত ভট্ট মা গঙ্গার অবতারণের কাহিনী বর্ণনা করার সময় গঙ্গাসাগরে স্নানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রধান অতিথি ধর্মপ্রাণ সমাজসেবক শ্রী ভগীরথ কাঙ্কানি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ৪৭-বছর ধরে সেবামূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বিশিষ্ট সমাজসেবক ভগীরথ চান্ডক বলেন, রাজা ভগীরথের মতো এখন দেশের অবস্থা ও দিক পরিবর্তনে ভগীরথের মতো প্রয়াসের প্রয়োজন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাষ্ট্রীয় সহ-মন্ত্রী শ্রী স্বপন মুখোপাধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে সমগ্র ভারতে চলা সেবামূলক কাজের উল্লেখ করেছেন। রাম দরবারের পূজা দিয়ে শুরু হয় সেবা শিবিরের সূচনা।
অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পশ্চিম কলকাতার অধ্যক্ষ মহেন্দ্র কুমার শর্মা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী ড. বিজয় হরভজনকা। এই শিবিরে পারীক সভা, খন্ডাল বিপ্র সেবা সংঘ এবং বিশুধানন্দ হাসপাতালের কর্মীদের সেবার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে সফল উন্নীত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন রাম গোপাল সুঙ্ঘা, মহাবীর বাজাজ, প্রবীণ শর্মা, অশোক আগরওয়াল, বিজয় পিপলওয়া বংশীধর শর্মা, মুলতান পারেক, চম্পালাল পারীক, সত্যনারায়ণ মরিজাওয়ালা, অরুণ মাল্লাওয়াত, বাবুলাল পারেক, সজ্জন সিংহল, উদয় সাও, অনির্বাণ দা, হরিশঙ্কর মরিজাওয়ালা, প্রমোদ পুষ্টি, অশোক দুবে প্রমুখ। মহেন্দ্র শর্মা বলেছেন, এই শিবির ১০ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে এবং ১২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সাগরেও চলবে, যেখানে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীকে বিনামূল্যে থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।