দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বছরের আর পাঁচটা সময়ে এ পার বাংলা-ও পার বাংলার মানুষদের মধ্যে ইলিশ, চিংড়ি দিয়ে দ্বন্দ্ব চললেও, নববর্ষের দিন কিন্তু পাতে এই দু’টি মাছ না থাকলে ভূরিভোজ ঠিক জমে না। সে দিন বিবাদ ভুলে বাঙালির পাতে পড়ে ইলিশ ও চিংড়ির নানা পদ। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায়।
ভাবছেন তো রোজের খাবারের বাইরে নতুন কি পদ করা যায়, যা খাঁটি বাঙালিও হবে? বানিয়ে ফেলুন চিংড়ির জলবড়া। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
চাপড়া চিংড়ি: ৩৫০ গ্রাম
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
ঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
নুন ও চিনি: স্বাদমতো
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোটা গরম মশলা: ৫ গ্রাম
তেজপাতা: ২টি
পেঁয়াজ বাটা: ৩-৪ টেবিল চামচ
দই: ২-৩ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
নারকেলের দুধ: ১ কাপ
ঘি: ১ চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
প্রণালী:
চিংড়ি মাছের মাথা, খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। একটি পাত্রে চিংড়ি বাটার সঙ্গে আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, নুন ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা ফোড়ন দিন। এ বার তাতে আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে লাল করে ভেজে নিন। কড়াইতে ফেটানো দই, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, চিনি, হলুদ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে সামান্য জল দিন। তার পর নারকেল দুধ দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। উপর থেকে কয়েকটি চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে বাটা চিংড়ি হাতে গোল করে ওই ঝোলে ছেড়ে দিন। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ৫ থেকে ৬ মিনিট আরও ফুটতে দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে ঘি আর গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।