
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের সময় অনেকেরই ঠোঁট ফাটা ও শুষ্কতার সমস্যায় ভুগতে হয়। বিশেষ করে তীব্র শীতল আবহাওয়ায়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী যত্নের পদ্ধতিগুলো এখনও সমানভাবে জনপ্রিয়। এই উপায়গুলো একেবারেই প্রাকৃতিক, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাহলে চলুন জেনে নিই, কীভাবে এই শীতে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটকে রাখবেন নরম ও আর্দ্র…
* বয়স্করা নাভিকে শরীরের অনেক স্নায়ুর কেন্দ্র বলে মনে করেন। এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি শীতকালে কার্যকর। ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে দুই বা তিন ফোঁটা সরিষার তেল আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এই ঘরোয়া প্রতিকার শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাটার মতো সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। নিয়মিত এই প্রতিকার অনুসরণ করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
* পাহাড়ি বাড়িতে ব্যবহৃত ঘি কেবল ভোজ্যই নয়, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ফাটা ঠোঁটে গরম ঘি লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে আর্দ্রতা পাওয়া যায়। রাতে ঘুমনোর আগে যদি ঘি লাগান, তাহলে সকালে ঠোঁটের স্তর নরম থাকবে এবং ফাটা কমবে।
* মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদি আপনার ঠোঁট ফাটা এবং শুষ্ক থাকে, তাহলে সামান্য মধু লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যাবে। মধু কেবল আপনার ঠোঁটকে আর্দ্রতা দেয় না বরং দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে।
* শীতকালে ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য দুধের ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এই ক্রিমটি ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করা উচিত। ক্রিমের প্রাকৃতিক চর্বি ঠোঁটের হারানো রঙ পুনরুদ্ধার করে এবং নরম করে।
* ফাটা ঠোঁটের জন্য গুড় এবং সরিষার তেলের ব্যবহার উপকারী।
