দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বুধবার লক্ষ্মীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে সাড়ম্বারে পূজিত হবেন দেবে লক্ষ্মী। অনেকে আবার কালীপুজোর দিন অলক্ষ্মী পুজো করেন। আসল কথা হলো লক্ষ্মী ও অলক্ষ্মী এক সঙ্গেই অবস্থান করেন - এটাই মানব জীবনে প্রতীক। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় সমস্ত হিন্দু বাঙালি। কিন্তু প্রশ্ন কেন লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর বাহন পেঁচে একাসনে পুজোতে হন?
এই বিষয়ে দুটি মত পাওয়া যায় - লক্ষ্মীর অর্ধেক অংশ অলক্ষ্মী। পুরান মতে, ব্রহ্মার মুখের উজ্জ্বল অংশ থেকে এবং অলক্ষ্মী তাঁর পিঠের অন্ধকার দিক থেকে আবির্ভূতা। পেঁচা, লক্ষ্মীর পায়ের কাছে বসে। যা অলক্ষ্মী এবং তার অশুভ প্রকৃতির প্রতীক। শোনা যায় যে লক্ষ্মীর পেঁচা, পেচাকা নামে পরিচিত। এটি লক্ষ্মী পুজোয় উল্লেখিত নাম, বিশেষ করে বাংলায়। এই পেঁচার প্রধান খাদ্য শস্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন কীট পতংগ - যারা কৃষিজ ফসলের ক্ষতি করে। সেই ফসল বাঁচায় এই পেঁচা। তাই পেঁচাই এক অর্থে কৃষিজ ফসলের রক্ষাকর্তা। এছাড়াও বলা হয়, ধান হল লক্ষ্মীর প্রতীক। চাল, অন্ন , খাদ্যশস্য হল লক্ষ্মীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন, তাদের ওপর দেবী অসন্তুষ্ট হন। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বাস করে। সেই ইঁদুর খেয়ে ধানক্ষেত রক্ষা করে পেঁচা। তাই পেঁচা লক্ষ্মীর বাহন।
অনেকে বলেন,লক্ষ্মীর পেঁচা ধৈর্য, বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞার প্রতীক। এটি যখন লক্ষ্মীর বাহনে পরিণত হয়, তখন সে সম্পদ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করে। পেঁচা, লক্ষ্মীর ভক্তদের লক্ষ্মীর পেঁচা ধৈর্য, বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞার প্রতীক। এটি যখন লক্ষ্মীর বাহনে পরিণত হয়, তখন সে সম্পদ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করে। পেঁচা, লক্ষ্মীর ভক্তদের অনুরোধ করে তারা যেন সম্পদ এবং তার জাঁকজমকের মধ্যে আটকা না পড়ে। এটি তখন সার্বজনীন প্রজ্ঞার প্রতীক হয়ে ওঠে যা অহংকার এবং অনুশাসন সম্পর্কে সতর্ক করে।