দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পৃথিবীর উন্নত ভবিষ্যৎ, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতায় বৃদ্ধি আর সাফল্যের জন্য ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিতে বিশ্বকর্মা পুজো করেন। হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি-প্রকৃতির উপর নির্ভর করে আর জানা যায়, ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা,গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। মনে করা হয়, তিনিই পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়ার!
পুরাণে আছে,বিশ্বকর্মা হলেন সর্বদর্শী ও সর্বজ্ঞ। দেবতাদের স্বর্গের প্রাসাদের নির্মাণ করেছিলেন আর তিনি তাঁদের কাছে দেবশিল্পী নামে সূপরিচিত। শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা! স্বর্গের দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা স্বয়ং তিনি। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, বিশ্বকর্মাই বিশ্বের সব কাজের মূল সম্পাদক। তিনি নিজেই স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদের প্রকাশক! তাঁকে স্বর্গীয় ছুতারও বলা হয়। এজন্যে মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি আছে ইত্যাদি এসব জায়গায় বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তবে মনে করা হয়, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কোনও শিল্পকর্ম করা অশুভ, তাই কারিগরেরা সমস্ত যন্ত্রপাতি বিশ্বকর্মার নামে সমর্পন করে, এগুলি ব্যবহারে বিরত থাকে তারা সেদিন। অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। বিশেষ দিনে পুজোর পর বিভিন্নরকম খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে আর ছেলে-মেয়েরা ঘুড়ি ওড়ায় বিকেলের আকাশে। পুজোর আগের দিন পশ্চিমবাংলার আদি বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন আর এটিও বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম!