দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- দুর্গাপুজো মানেই খুশির হাওয়া। বছরের পর বছর ধরে আনন্দের ঢালি সাজিয়ে দুর্গা পুজোয় মেতে ওঠে বঙ্গবাসী। মণ্ডপে মণ্ডপে চলে থিমের মেলা। এবার সেই থিমেই থাকছে নতুনের ছোঁয়া।
এ বছর খড়দহ, রহড়ার রিজেন্ট পার্ক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর দুর্গাপুজোর থিম 'রহস্যে ৫০'। এ বছর তাঁদের দুর্গোৎসবেরও সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই সঙ্গে পর্দায় প্রদোষচন্দ্র মিত্রর আবির্ভাবের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে এই শীতে এবং অর্ধশতক পেরিয়েও চিরনবীন চিরসবুজ ফেলুদা-তোপসে-জটায়ুর যুগলবন্দি। এবার তা ফুটে উঠবে মণ্ডপে।
দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন ১৯৭৪ সালেই। সে বছরই ২৭ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল আইকনিক ছবি 'সোনার কেল্লা'। তাই বাঙালির এক এবং অদ্বিতীয় প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের সঙ্গে নিজেদের পুজোর ৫০ পূর্তি উদযাপনও মিশিয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের প্রতি তাঁদের কুর্নিশ নিবেদনও বটে। মণ্ডপসজ্জায় উঠে এসেছে 'সোনার কেল্লা' এবং 'জয় বাবা ফেলুনাথ' ছবির নানা অনুষঙ্গ। সেখানে থাকছে মগনলাল মেঘরাজ, মছলিবাবা থেকে শুরু করে মন্দার বোস এবং নকল ডক্টর হাজরা।
উদ্যোক্তাদের কথায়, ''আমাদের এই ভাবনা খালি বুদ্ধিমত্তা, মেধা উদযাপনই নয়। শিল্পীদের ভাবনায় বাংলা তথা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং শিল্পকেও, বাঙালির রসবোধকে উদযাপনের প্রয়াস করা হয়েছে। সবাই দিনের শেষে স্বীকৃতি চায়, আমাদের শিল্পীরা এবং আমরা পুজো উদ্যোক্তারাও তার ব্যাতিক্রম নই। দিনের শেষে একটাই চাহিদা দর্শনার্থীদের কাছে। সেটা হল আমাদের ভাবনা এবং কাজের স্বীকৃতি লাভ। এই আশা নিয়েই 'বিজয় ৫০', 'জয় ৫০'।''