Breaking News
 
Subhendu Adhikari: দুর্গাপুরকাণ্ডে আইনি লড়াই! ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে বিজেপি, পালটা জমায়েত সরাতে আদালতের দ্বারস্থ মেডিক্যাল কলেজ Arjun Singh: 'কঠোর পদক্ষেপ নয়'! এফআইআর-এর বিরুদ্ধে অর্জুন সিংকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাই কোর্ট Jagadhatri Puja:চন্দননগরে আর 'সাট ডাউন' নয়! বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রেখেই এবার শোভাযাত্রা, বড় ঘোষণা প্রশাসনের Amit Shah: আর নয় বিলম্ব! বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ক্ষোভ মেটাতে কড়া বার্তা দিতে পারেন অমিত শাহ Google: ১.৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ! অন্ধ্রপ্রদেশে AI হাব গড়তে চলেছে Google, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতের ডিজিটাল যাত্রায় CM Mamata Banerjee:শেষ মুহূর্তে রদবদল! আজ মিরিকে যাচ্ছেন না মমতা, বিপর্যস্ত সুখিয়াপোখরি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

 

Festival and celebrations

2 hours ago

Kali Puja 2025: টানা চোখ, সালঙ্কারা সাজে শান্তিপুরের আগমেশ্বরী! এই রূপের নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ গল্প

Goddess Agomeswari kali
Goddess Agomeswari kali

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ন ভোলানো রূপে পূজিতা নদীয়ার আগমেশ্বরী মাতা, জেলার প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজোর সূচনা করেছিলেন কালীসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের প্রপৌত্র সার্বভৌম আগমবাগীশ, যিনি ছিলেন একজন তন্ত্রসাধক।

শোনা যায়, শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সার্বভৌম আগমবাগীশের। মথুরেশ তাঁর মেয়ে, জামাইয়ের সঙ্গে শান্তিপুরে চলে আসেন। সেখানেই মথুরেশ গোস্বামী তাঁর বসতবাটি থেকে কিছুটা দূরে একটি পঞ্চমুণ্ডির আসন স্থাপন করেন। সেখানেই সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সার্বভৌম আগমবাগীশ।

তিনিই গঙ্গা থেকে মাটি নিয়ে এনে মাতৃমূর্তি নির্মাণ করে পুজো করেন। পুজোর পরেই প্রতিমা বিসর্জন দেন গঙ্গায়। এই প্রাচীন প্রথা আজও মানা হয় মা আগমেশ্বরীর পুজোয়। আগমেশ্বরীর পুজোর সমস্ত রীতি, আচার পালন করেন বড় গোস্বামী পরিবারের সদস্যরা। দুর্গাপুজোর পরে বিজয়া দশমীর দিন মা আগমেশ্বরীর পাটে সিঁদুর দেওয়া হয় ও পুজো করা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন পাটখিলান অনুষ্ঠান হয়। এর পরেই দীপান্বিতা কালীপুজোয় আগমেশ্বরী মায়ের পুজো হয়।

আগমেশ্বরী মায়ের উচ্চতা প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ফুট। কালীপুজোর দিন প্রতিমার রং করা হয়, রাতে হয় চক্ষুদান। কালীপুজোর রাতে বড় গোস্বামী পরিবারের সদস্যরা মাকে গয়না পরান, নবসাজে সজ্জিত করেন দেবীকে। তার পরে যিনি মৃৎশিল্পী তিনি সারাদিন উপবাস থেকে শুদ্ধবস্ত্র পরে মায়ের চক্ষুদান করেন।

মায়ের চক্ষুদানের পরেই বড় গোস্বামী পরিবারের সদস্যরা মাকে সিঁদুর, গন্ধদান, আতরদান করেন। তার পরে শুরু হয় মায়ের পুজো। ভোর পর্যন্ত পুজো চলে। মা আগমেশ্বরীর জন্য সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোগ প্রদান করা হয়। এখানে পশু বলি প্রথা নেই। আখ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। মাকে ৩৬ ব্যঞ্জনের ভোগ নিবেদন করা হয়।

মায়ের ভোগ রান্না করেন বাড়ির দীক্ষা নেওয়া মহিলারা। ভোগে থাকে তিন রকমের শাক (লালশাক, কচুশাক, পালংশাক), শুক্তোনি, বিভিন্ন রকমের ডাল (বিউলি, মুগ ইত্যাদি), চালকুমড়োর তরকারি, মিষ্টি কুমড়োর তরকারি, কচুরদম, বাঁধাকপির তরকারি, ছানার ডালনা, এঁচোড়ের তরকারি, পোলাও, চালতার চাটনি, টমেটোর চাটনি, নানা রকমের মিষ্টান্ন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফল নিবেদন করা হয় মা আগমেশ্বরীকে। মায়ের পুজোর পরের দিন নিরঞ্জন হয়। আগমেশ্বরী মাকে আগে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। এখন যদিও তেমনটা আর হয় না। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় মাকে।

You might also like!