কলকাতা, ২৪ অক্টোবর : দশমীর বিকেল থেকেই বেজে উঠেছে বিসর্জনের বাজনা। কলকাতার বিশেষ কয়েকটি বারোয়ারি পুজো এখনও দশমীতে বিসর্জন দেওয়ার প্রথা মেনে আসছে। এছাড়া বাড়ি ও আবাসনের পুজোর প্রতিমা সাধারণত দশমীতেই বিসর্জন দেওয়া হয়।
তবে কলকাতার বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর বিসর্জন হয় নি দশমীতে। তার উপর নবমীর মধ্যে যাদের ঠাকুর দেখা শেষ হবে না, সেই দর্শনার্থীদের ভিড় আছে বড় মণ্ডপগুলিতে। তাই একদিকে যেমন কলকাতার বড় মণ্ডপগুলিতে থাকবে পুলিশি ব্যবস্থা, তেমনই প্রত্যেকটি ঘাটেও আছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ।
এবারে দশমী থেকে দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিল। ফলে বিসর্জনের সময় ঘাটগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। বুধবার অবশ্য সেই আশঙ্কা কেটে গিয়েছে। শহরে প্রায় ৩৪টি ঘাটে বিসর্জন চলে। এছাড়া লেক ও জলাশয় মিলিয়ে ৪০টি জায়গায় প্রতিমা নিরাঞ্জন হয়।
লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে পুলিশকর্তারাও ঘাট পরিদর্শন করেছেন। পরিষ্কার রাখা হয়েছে সবকটি ঘাট। একইসঙ্গে বিসর্জনের জন্য দক্ষিণ শহরতলি ও বেহালা অঞ্চলের মোট ৪০টি পুকুর, সরোবর ও ঝিল শনাক্ত করা আছে। সেগুলিতেও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার জন্য হাওড়ার দিকের ঘাটগুলির আশপাশে টহল দেবে কলকাতার জল পুলিশ। ১৮টি লাইফ সেভিং বোট থাকছে। বিসর্জন চলাকালীন মাইকের প্রচারে সচেতন করা হবে।
হুগলি নদীর অপর পাড়ে, বেশ কিছু ঘাটে কাঠামো তোলার জন্য ক্রেন রাখা হয়েছে। এরই সঙ্গে পুরকর্মীরা নিজেরাও কাঠামো তুলছেন। কাঠামো ভাসান দেওয়ার জন্য সমস্ত ঘাটে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘাটই হাওড়া কর্পোরেশনের তরফে রং করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। কিছু ঘাট মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।
সব ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সেগুলি দ্রুত তুলে এনে পুরকর্মীরা ঘাটের পাশেই রাখছেন। পরে ভোর ৩টে থেকে সেগুলি আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘাট পরিষ্কার করে দিচ্ছেন এজেন্সির লোকেরা। পুরকর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি ঘাটেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি করে মেডিক্যাল টিম রাখা হচ্ছে।