দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:বিধানসভা নির্বাচনের মুখেও থমকে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন। পুরনোদের আধিপত্য ও নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুমুল মতবিরোধে কার্যত 'হিমশিম' খাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই কোন্দল মেটাতে এবং ছাব্বিশের ভোটের আগে ক্ষোভ সামলাতে শেষমেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে কমিটির নাম চূড়ান্ত করতে হতে পারে।
সূত্রের খবর, শাহ-নাড্ডাকেই হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে কোন্দল সামলে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করতে। বিজেপি পার্টির সংবিধান অনুযায়ী নতুন সভাপতি আসার পর নিজের টিম তৈরি করেন। কিন্তু শমীক ভট্টাচার্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর তিনমাস কেটে গেলেও নতুন টিম ঘোষণা হয়নি। ভোট হতে আর খুব কম সময়ই বাকি। আবার নতুন কমিটি ঘোষণা হলেও নতুনরা অল্প সময়ে কীভাবে সংগঠনের কাজ রপ্ত হতে পারবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নয়া কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে থাকা আদি শিবিরের সিংহভাগ অংশ এখনও নিষ্ক্রিয়ই। ফলে ছাব্বিশের ভোটকে সামনে রেখে সংগঠন বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে নেতাদের সমন্বয়ের অভাবের জন্য।
আসলে নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক শিবির যে রাজ্য কমিটির তালিকা পেশ করেছেন, তা মানতে চাইছে না আগের শিবির। বর্তমান একাধিক পদাধিকারীকে পদে পুনর্বহাল রাখতে দলের অন্দরে সরব তাঁদের শিবিরের লোকজন। আর এসবের মধ্যেই নতুন রাজ্য কমিটিতে আদি-নব্য সমন্বয় করেই এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, বর্তমান কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁদের সরিয়ে দিলে ক্ষোভ বাড়বে। আবার কমিটিতে পুরনোদের সক্রিয় করে কাজের সুযোগ না দিলে আদি শিবির চটতে পারে। কারণ, বর্তমান কমিটির সিংহভাগ নেতৃত্বের উপরই ক্ষুব্ধ আদি শিবির। ফলে সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল।
রাজ্য কমিটিতে 'সংগঠন সম্পাদক' পদ নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন! আদি শিবিরের বড় অংশ চাইছে বর্তমান সম্পাদককে সরাতে, যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোটের মুখে নতুন কাউকে এনে কাজের গতি ধরে রাখা নিয়ে সংশয়ে। রাজ্য কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের এই 'ধীরে চলো' নীতি কেন, সেই প্রশ্নও তুলছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। এদিকে, শমীক শিবিরের দাবি, কালীপুজোর পরেই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে।