দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ। আর এই মহাকুম্ভ-কে কেন্দ্র করে পবিত্র স্নানের উদ্দেশ্যে ভিড় জমিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। পুণ্যস্নানে সামিল হয়েছেন বলি ও টলিউডের একাধিক তারকা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলেবরাও। আর এবার বসন্ত পঞ্চমীর ভোরে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যস্নান সেরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যবস্থাপনা তুলনাহীন। আয়োজকদের কুর্নিশ জানিয়ে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন, “দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে।”
রচনার কুম্ভস্নানের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গেছে ,২ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিনই তিনি বিশেষ স্নানে যোগ দিলেন। গেরুয়া পোশাক ও কপালে তিলক কেটে রচনা মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করলেন। ঝটিকা সফরে এলাহাবাদ ও বেনারস ঘুরে তিনি ফিরে যাবেন দিল্লি। রচনা বলেন, ত্রিবেণী সঙ্গমে পিতৃপুরুষের জন্য তর্পণ করতে পেরেছি, এর থেকে ভাল আর কী বা হতে পারে! স্নানের সময় প্রার্থনা করতে গিয়ে বাবার কথা ভেবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ। সেখানে বাবার জন্য প্রার্থনা করতে পারা, এটা চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
এদিন তিনি পবিত্র স্নান সেরে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার অর্থাৎ যোগী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দারুণ অভিজ্ঞতা হল। কুম্ভের ব্যবস্থাপনা তুলনাহীন। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। কিন্তু কুর্নিশ আয়োজকদের। কোটি কোটি মানুষের শৌচাগার থেকে শুরু করে থাকার ব্যবস্থা, সবটা করা হয়েছে সুন্দরভাবে। জলে নেমে যাতে কেউ ডুবে না যান, সে জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। গোটা ব্যবস্থা প্রশংসনীয়।”
গত সপ্তাহে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ছিল দ্বিতীয় পুণ্যস্নান। রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝের ব্যারিকেড ভিড়ের চাপে ভেঙে যায়। যার জেরেই মৃত্যু হয় ৩০ জন পুণ্যার্থীর। এই প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যোগী সরকারের নিরাপত্তার দিকে আঙ্গুলও তোলেন। আর এদিন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে শোনা গেল অন্য সুর। তিনি আরও বললেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও বেশি তৎপর ও সর্তক হয়ে গিয়েছে।
মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শোনা গেল আক্ষেপের সুর রচনার গলায়। মেলাপ্রাঙ্গণ সে ভাবে ঘুরে দেখতে পারেননি তিনি। সাধুদের আখড়াগুলি ঘুরতে পারেনি। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি জলপথে গিয়ে শুধু স্নান সেরেই ফিরে এসেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার পক্ষে আসলে ১২ কিলোমিটার হাঁটা সম্ভব ছিল না। আমি সাংসদ বলে শাহিস্নানের দিনে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়নি প্রশাসনের তরফে। এটাই ভাল লাগার জায়গা। আসলেই কুম্ভমেলা সকলের জন্য।’’