দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের মামলায় কেন্দ্রকে কার্যত ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ কেন্দ্রের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বলে, "আপনারা মামলা তুলে নেবেন, না কি আমরা খারিজ করব?" এরপরেই শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দেয় এবং হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। ফলে গত ১ অগস্ট থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশটিই কার্যকর থাকছে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ১০০ দিনের কাজের টাকা মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে। তা ছাড়া এর ফলে ১০০ দিনের কাজ নিয়েও বাধা কাটল। চার বছর পরে ফের ১০০ দিনের কাজ শুরু হবে রাজ্যে।রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, যা নিয়ে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে ওই টাকা অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এই যুক্তিতেই এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র।
গত জুন মাসে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, যা নিয়ে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে ওই টাকা অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এই যুক্তিতেই এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ ২০২২ সালের আগের। সেই সব নিয়ে আপনারা যা খুশি পদক্ষেপ করুন। কিন্তু এখন প্রকল্পের কাজ চালু করা হোক।’’ কাজ চালু সংক্রান্ত হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখার কথা জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
