দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :মাসের পর মাস ধরে কানাঘুষো চলছিল। তবে প্রতিবারই চুপ ছিলেন গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা। কিন্তু এবার গুঞ্জন যেন বাস্তবের রূপ নিতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুনীতা। জানা গিয়েছে, বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযোগের তালিকাও নেহাত ছোট নয়—ব্যাভিচার, প্রতারণা থেকে শুরু করে নিষ্ঠুর আচরণ—সবকিছুই রয়েছে তাতে। অর্থাৎ স্পষ্টভাষায়, সুনীতা গোবিন্দের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলেছেন।
সুনীতার আনা গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে গত মে ও জুন মাসে অভিনেতা গোবিন্দকে সমন পাঠিয়েছিল আদালত। তবে যেখানে সুনীতা হাজিরা দিয়েছেন, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন নায়ক। যদিও শোনা যাচ্ছে, সম্পর্ক বাঁচাতে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই জল্পনা আরও জোরালো হয় সুনীতার এক সাম্প্রতিক ভ্লগে। চণ্ডীগড়ে মহাকালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। মন্দিরের বিশেষত্ব—এখানে দেবীমূর্তি দাঁড়ানো নয়, শায়িত অবস্থায়। শক্তির উপাসক সুনীতা দীর্ঘদিন ধরেই ভক্তিমগ্ন। একসময় মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দিরে মানত করেছিলেন, যাতে গোবিন্দকে স্বামী হিসেবে পান।
মন্দিরচত্বরে বসেই দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবেগভরে তিনি বলেন—
“যা চেয়েছি, পেয়েছি—গোবিন্দকে স্বামী হিসেবে, দুই সন্তানকে পেয়েছি। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে চাইলে, দেবী মা তাঁকে ছিন্ন করবেন। আমার মতো সৎ স্ত্রীর চোখে জল আনলে তার মঙ্গল হবে না।”
একনাগাড়ে এ সব বলতে বলতে সেখানেই কেঁদে ফেলেন তারকা-পত্নী। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি একাধিক বার বলেছেন, ‘‘পুরুষমানুষকে ভরসা করা উচিত নয়, কখন কী করে বসবেন বুঝতে পারবেন না।’’ কখনও আবার বলেছেন, ‘‘আমি গোবিন্দের তাঁবেদারি করি না, সত্যিটা বলি বলে সহ্য হয় না।’’ বেশ কয়েক মাস ধরেই আকারে-ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সুনীতা, তবু যেন একটা আলগা পরত রাখতে চেয়েছিলেন। এ বার কি সেই সীমাও অতিক্রম করতে বাধ্য হলেন তিনি?