দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন বিহার নির্বাচনে 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তেজস্বী যাদবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তবে জোটের 'ঐক্য' বজায় রাখতে বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রধান মুকেশ সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে, যার ফলে জোটসঙ্গীদের দাবির কাছে মাথা নুইয়ে সরকারে বড় পদ হারাতে চলেছে কংগ্রেস।
বুধবার আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব-সহ একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অশোক গেহলট। সেই বৈঠক যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি করেন গেহলট। কিন্তু আসনরফা যে চূড়ান্ত হয়নি, সেটা উল্লেখ না করলেও স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টা আসন রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ-দশটা আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতেই পারে।” তবে গেহলটের বিশ্বাস, এনডিএর বিরুদ্ধে একজোট হয়েই লড়বে ইন্ডিয়া জোট।
লালুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই গেহলট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেজস্বীকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে। যদিও বিহার কংগ্রেসের অনেকেই চাননি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচনে নামুক জোট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটের ভাঙন রুখতে আরজেডির দাবিতে মাথা নোয়াল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়া জোট। সেখানেও কংগ্রেসের ঝুলি শূন্য। হাতেগোনা কয়েকটি আসনে লড়াই করা ভিআইপির প্রধানকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হল।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসলে নামেই ‘মহাগটবন্ধন’, আসনরফা কার্যত শিকেয়। অন্তত ১২ আসনে সরাসরি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইন্ডিয়ার জোটের শরিকরা। তবে গেহলটের মত, “বিহারে ২৪৩টা আসন রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ-দশটা আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতেই পারে।” বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকেও আসনরফা নিয়ে কিছু বলা হয়নি জোটের তরফে। তবে ঘোষণা করা হয়, বিহারে ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়লে আরও একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে। অনগ্রসর শ্রেণির কাউকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হবে। সেখানেও কি জোটের স্বার্থে আত্মত্যাগ করবে কংগ্রেস?