দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরসুমে মিষ্টির রমরমা চলতেই থাকে—দোকানে রকমারি মিষ্টি কিনতে লাইন পড়ে। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তা যেন এক নিষেধের দেওয়াল! ইচ্ছা থাকলেও খাওয়ার উপায় থাকে না। আবার অনেকেই এখন স্বাস্থ্য সচেতন, তাই শেষপাতে মিষ্টি খাওয়ার লোভ সংবরণ করেন। তবে এবার আর মন খারাপের দরকার নেই। এই দিওয়ালি কাটান একেবারে সুগার-ফ্রি রকমারি স্বাদের মিষ্টির সাথে! রইল এমন তিনটি কম মিষ্টির সহজ রেসিপি, যা ডায়াবেটিক বা ফিটনেস সচেতন সকলেই নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবেন।
মিষ্টি আলুর পান্তুয়া:
উপকরণ— ১ কিলো রাঙা আলু, ৪০০ গ্রাম ময়দা, সুগার ফ্রি বড়ি গুড়ো ৪০০ গ্রাম, ৪০০ মিলিমিটার জল, ৬টি ছোট এলাচ, ১ টেবিল চামচ ঘি, সাদা তেল, ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
প্রণালী— রাঙা আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানোর পর ভালো করে মেখে তাতে ময়দা, বেকিং পাউডার আর আধ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে। হাতের তালুতে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে গোল করে নিন। একটি পাত্রে জল, ছোট এলাচ দিয়ে তার মধ্যে সুগার ফ্রি বড়ি গুড়ো দিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। এবার সাদা তেলে হাল্কা থেকে মাঝারি আঁচে বলগুলো দিয়ে ভেজে নিয়ে রসে ডুবিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন। রস বানানোর সময় চিনির পরিমাণ যেন অল্প থাকে। কারণ, মিষ্টি আলুর নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে তাই মিষ্টি বেশি দিলে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
বাদাম বরফি:
উপকরণ— ৫০০ গ্রাম বাদাম, পরিমাণ মতো কনডেন্সড মিল্ক, ১ কাপ ঘি, ৪ টি এলাচ।
প্রণালী— একটি পাত্রে প্রয়োজন মত কনডেন্সড মিল্ক নিন প্রয়োজন মতো ড্রাই ফ্রুট। ২ ঘন্টা মতো প্রথমে বাদামগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভিজিয়ে রাখা বাদামগুলো মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে বেটে রাখা বাদাম দিয়ে দিতে হবে ও ভালোভাবে ভাজতে হবে ঘিয়ে। ভাজা হয়ে গেলে তাতে এলাচ দিয়ে আবার ভালো করে নাড়াতে হবে যতক্ষণ না শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে মন্ড মতো হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। একটা থালার মধ্যে একটু ঘি গ্রিজ করে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে উপর দিয়ে ড্রাই ফ্রুট দিয়ে গারনিশ করতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বরফি আকার কেটে নিলেই তৈরি বাদাম বরফি।
বেসনের লাড্ডু:
প্রণালী— ১ কাপ বেসন, ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক, ১ কাপ ঘি, বড় এলাচের গুঁড়ো, ছোট ছোট টুকরো করে কাটা বাদাম
উপকরণ— একটি নন স্টিক ফ্রাই প্যানে বেসন নিয়ে কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন কিছুক্ষণ। আঁচ কিন্তু বাড়াবেন না। না হলে বেসন পুড়ে যাবে। বাদামের কুচি আর এলাচের গুঁড়ো দিয়ে দিন। সুগন্ধ বেরোলে ঘি মিশিয়ে দিন। পুরোটা মিশে গেলে ১ কাপ কনডেন্সড মিল্কের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে দিন। এবার স্প্যাচুলা দিয়ে নেড়ে ভালো করে মেশাতে হবে। ধারে ঘি ভেসে উঠলেই বুঝবেন মিশ্রণ রেডি। নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করেই হাতে অল্প ঘি মাখিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিন। ফ্রিজে দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। বাইরেও বেশ কিছুদিন ভালো থাকবে। তবে দেখবেন সবকিছুর পরিমাণ ঠিক হতে হবে। নইলে লাড্ডু শক্ত হবে।