দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নতুন মিউজিক ভিডিও ‘দমদম’। তাতে তাঁর নাচ মুগ্ধ করেছে অনুরাগীদের, প্রশংসাও পেয়েছেন ঝড়ের গতিতে। তবে এই সাফল্যের মাঝে আবারও ঘনাচ্ছে আইনি মেঘ।
আর্থিক তছরুপের মামলায় এখনও রেহাই মেলেনি জ্যাকলিনের। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মামলা চলবে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নাকি তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও গোপন করেছেন। ফলে আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে তাঁর আইনি সমস্যার মাত্রা।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের জন্য আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়িয়ে প়ড়েন জ্যাকলিন। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে সুকেশ বর্তমানে সংশোধনাগারে। এই সুকেশের থেকেই নিয়মিত দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। জড়িয়েছেন মামলাতেও। যদিও তিনি আবেদন করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। উপরন্তু আদালত জানিয়েছে, তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেন তিনি। এমনকি, আর্থিক তছরুপের মামলায় প্রমাণ লুকোনোর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিচারপতি অনীশ দয়ালের মতে, জ্যাকলিন তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন।
আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বয়ান থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, আবেদনকারী (জ্যাকলিন) উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। প্রথম দিকে তিনি সুকেশের নাম শোনেননি বলেও দাবি করেছিলেন। যদিও পরে তথ্যপ্রমাণের চাপে তিনি সুকেশের সঙ্গে তাঁর পরিচিতির কথা স্বীকার করেন।”
সুকেশের কাছ থেকে কী কী উপহার পেয়েছেন, তা শুরুতে স্বীকার করতেই চাননি জ্যাকলিন।একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তিনি তা মেনে নিয়েছিলেন। ইডি’র (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) তরফ থেকেও দাবি করা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জ্যাকলিন। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠেছে যে, তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজেই ফোন থেকে মুছে ফেলেছিলেন জ্যাকলিন। এই সব কারণেই দিল্লি হাই কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।