দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :বলিউড সুপারস্টার আমির খান সিনেমায় অসাধারন অভিনয়ের জন্য যতটা প্রশংসিত, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ততটাই আলোচনায় থেকেছেন। তাঁর ভাই ফয়সাল খানের দাবি, ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইন্সের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, এমনকি বিয়ের বাইরে এক সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন অভিনেতা।
ফয়সালের অভিযোগ অনুযায়ী, রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হাইন্সের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমিরের। সে সময়ই আবার চলচ্চিত্র নির্মাতা কিরণ রাওয়ের সঙ্গেও তিনি একত্রে ছিলেন।
২০০০ সালের শুরুর দিকেই এই বিতর্ক বলিউডে বড় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ২০০৫ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলাম ছবির শুটিং চলাকালীন আমির এবং জেসিকা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। আরও দাবি করা হয়, হাইন্স গর্ভপাত না করায় তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান, যার নাম রাখা হয় জান।
জেসিকা হাইন্স একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখিকা, যিনি বিশেষত বিনোদন সাংবাদিকতায় পরিচিত। তিনি অমিতাভ বচ্চনের জীবনী “লুকিং ফর দ্য বিগ বি”-এর লেখক। ভারতে কাজ করার সময়েই তাঁর সঙ্গে আমির খানের পরিচয় ঘটে বলে শোনা যায়। সেই সূত্র থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এ বিষয়ে আমির বা জেসিকা কেউই প্রকাশ্যে কিছু স্বীকার করেননি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সালে জেসিকা লন্ডনের ব্যবসায়ী উইলিয়াম ট্যালবটকে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর ছেলে জানের বেড়ে ওঠায় ট্যালবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। লেখিকার ভাষায়, ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় ট্যালবটই জানের স্থিতি ও নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।
অনলাইনে ফের গুঞ্জন
বহু বছর পর হঠাৎই জেসিকা হাইন্সের ছেলের একটি ছবি রেডিটে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং আবারও আমির খানের নাম ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। নেটিজেনদের দাবি, ছবিতে থাকা ছেলেটির চেহারার সঙ্গে আমিরের মিল রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পুরনো আলোচনার আগুনে ঘি পড়ে।
যদিও এসব দাবি এখনও কোনওভাবে প্রমাণিত হয়নি। এমনকি এ নিয়ে আমির খান নিজেও প্রকাশ্যে একটিও মন্তব্য করেননি।
তবুও গুজব থামছে না। আমির ও জেসিকা হাইন্সকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনা যেন নতুন করে বলিউড মহলে আগ্রহ জাগাচ্ছে। নিশ্চিত তথ্যের অভাবে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, আর এ কারণেই এটি থেকে যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে আলোচিত ও দীর্ঘস্থায়ী গুজবগুলির মধ্যে।