রমজান হল ইসলামি ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং এটি ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র মাসগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি উপবাস প্রার্থনা এবং আত্মবিশ্লষণের মাস হিসাবে সারা বিশ্বের মুসলিমরা পালন করে থাকেন।
রমজানের ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায় যে এই মাসে নবি মহম্মদ (সা.)-এর কাছে কোরান অবতীর্ণ হয়েছিল। কোরান, রমজানকে আশীর্বাদ, ক্ষমা ও করুণার মাস হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই মাসে এই সম্প্রদায়ের মানুষ ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করে। এর সাথে খাদ্য, জল এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদাও পরিহার করে।
উপবাসের উদ্দেশ্য হল মুসলিমদের স্ব-শৃঙ্খলা অনুশীলনে সাহায্য করা এবং যারা কম ভাগ্যবান তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। এটির মাধ্যমে একজনের শরীর এবং মনকে শুদ্ধ করার পথ এবং এর পাশাপাশি ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার উপায় হিসাবেও দেখা হয়। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় ইফতার নামক খাবার দিয়ে রোজা ভাঙা হয়, যার প্রধান উপাদান হিসাবে খেজুর এবং জল থাকে।
রোজা রাখার পাশাপাশি, মুসলিমদেরকে কোরান পড়তে, বিশেষ প্রার্থনার জন্য মসজিদে উপস্থিত হতে এবং রমজানে দাতব্য দিতে উৎসাহিত করা হয়। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সমাবেশের একটি সময়, যেখানে নিজেদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের জন্য ইফতার নৈশভোজের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
রমজান উদযাপনের সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলি মধ্যে ,সারা বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার, সেইসাথে মাসে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি ইত্যাদিও রয়েছে। অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এখন তাদের ইফতারের খাবারে আরও বেশ কিছু ফল, শাকসবজি এবং শস্য অন্তর্ভুক্ত করছেন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার প্রচারের উপায় হিসাবেও রোজাকে দেখানো হচ্ছে।
রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের একটি সময়, এবং এটি সারা বিশ্বে আনন্দ ও শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয়। শুধুমাত্র প্রার্থনা, উপবাস বা দাতব্য কাজের মাধ্যমেই নয়, রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশ্বাস পুণঃপ্রতিস্থাপন এবং তাদের সম্প্রদায়ের অন্যদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়।