দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নির্বাচনী প্রচারে ফের জাতীয়তাবাদ ও ধর্মের বড়ি গেলাতে শুরু করেছে বিজেপি! অন্তত বিজেপি (BJP) নেতাদের নির্বাচনী ভাষণে সেটাই স্পষ্ট। মঙ্গলবার দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) ঘোষণা করলেন, বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এবার বিজেপি সরকার গঠিত হলে ভারতে ফিরবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK)। শুধু তাই নয়, মথুরায় বিতর্কিত কৃষ্ণ জন্মভূমি ও জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিবর্তে সেখানে হবে বিশ্বনাথের মন্দির। এ সবই সম্ভব হবে বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতালে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ৪০০ আসন জিতে ক্ষমতায় এলে BJP মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদের স্থলে বাবা বিশ্বনাথের মন্দির নির্মাণ করবে।
দিল্লিতে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনগণকে স্মরণ করার রাম মন্দির নির্মাণের কথা। তিনি বলেন, 'লোকসভায় ৩০০ আসন পাওয়ার পর BJP প্রতিশ্রুতি মারফত অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছিল। এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি এবং বাবা বিশ্বনাথের মন্দির নির্মাণের পালা। ৪০০ আসন জিতলেই দেশে নির্মিত হবে এই দুই মন্দির।'
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সংযোজন, 'কেউ যদি সচিন তেন্ডুলকরকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি ডবল সেঞ্চুরি বা ত্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন, তার কোনও জবাব থাকে না। ঠিক তেমনই আমরা ৪০০ আসন কেন জিততে চাইছি, তারও কোনও ব্যাখ্যা নেই। তবুও কংগ্রেস বারবার জানতে চাইছে তাই বলেই দিচ্ছি। ৪০০ আসন জিতলে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির এবং বাবা বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ করা হবে। জ্ঞানবাপী মসজিদের স্থলেই তৈরি করা হবে বাবা বিশ্বনাথের মন্দির।'
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। বরাবরই এই অংশ ভারতে অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে আশাবাদী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, এস জয়শংকরের মতো মন্ত্রীরা। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'গত সাতদিন ধরে আমরা সকলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ছবি দেখতে পাচ্ছি। প্রতিদিন সেখানে অশান্তি চলছে। ভারতের পতাকা নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। আমার ধারণা এটা তো সবে শুরু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ৪০০ আসন জিতে ক্ষমতায় আসবেন তখন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে।'
লোকসভা নির্বাচনের আবহে মেরুকরণ ইস্যু নিয়ে উত্তাল দেশ। মঙ্গলবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি যেদিন হিন্দু-মুসলিন ভেদাভেদ করব সেদিন থেকে সমাজে বেঁচে থাকার যোগ্য থাকব না। আমি হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করব না, এটাই আমার সংকল্প।'