দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এক সময়ের দাপুটে আমলা আনন্দ বোস বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদে ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সুনজর’-এ থাকা এই প্রাক্তন আমলাকে জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি করে পাঠানোর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট রণকৌশল রয়েছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। ২৩ নভেম্বর রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তাঁর।
আর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরেই তাঁর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পাড়ি দিয়েছেন দিল্লী। শনিবার সকালের বিমানে কলকাতা থেকে রওনা হয়ে দিল্লি পৌঁছন তিনি। বিমানবন্দর থেকেই চলে যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। তবে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি বাংলার রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য শপথ নেওয়ার পরে কেবল শাসক দল নয়, রাজভবনে ডেকে পাঠিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও।এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী ঝালদা পুরসভা ইস্যুতে তাঁকে শপথগ্রহণের দিনই চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার পরে বহরমপুর সাংসদকে ২৫ মে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে অধীর ২৯ নভেম্বর রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন।