দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- এক সময় বাংলায় যত রান্নার ঠাকুর ছিলেন,তার অধিকাংশই ছিলেন ওড়িয়াবাসী। ওদের রন্ধন শিল্পে একটা নিজস্বতা আছে। তাছাড়া 'পুরী'র জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবকে প্রতিদিন যে ৫৬ রকমের খাবার নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হয়,তার জন্যও বহুকাল আগের থেকেই উড়িষ্যায় একটা নিজস্ব রন্ধনশিল্প তৈরি হয়েছে। জগন্নাথ দেবকে নিত্য ভোগে দেওয়া হয় এমন ২টি রেসিপি -
১) দলমা -
উপকরণ - মুগডাল,আদা বাটা,কাঁচা লঙ্কা,গাজর,কাঁচা পেঁপে,কুমড়ো,আলু,তেজপাতা,জিরা,পাঁচ ফোড়ন,শুকনো লঙ্কা,ধনে পাতা,নারকেল কোরা,ঘি,নুন,চিনি।
প্রণালী -প্রথমে শুকনো কড়াইয়ে মুগডাল ভেজে নামিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে ঘি দিয়ে শুকনো লঙ্কা,পাঁচ ফোড়ন,জিরা,তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে ছোটো টুকরো করে কাটা সমস্ত সবজি দিয়ে খুব ভালো করে অল্প আগুনে নাড়া-চাড়া করে তারমধ্যে ভাজা মুগডাল দিয়ে কিছুটা সাতলে নিয়ে একটু বেশি করে জল দিতে হবে। ঢেকে অন্তত ৮/১০ মিনিট রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে আবার ভালো করে নাড়াচাড়া করে দেখে নিন সেদ্ধ কতটা হলো। এবার নারকেল কোরা দিয়ে আরো ৫/৬ মিনিট রান্না হতে দিন। জল শুকিয়ে আসলে কাঁচা লঙ্কা ও ধনেপাতা,নুন ও চিনি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে আগুন বাড়িয়ে অল্প সময় রাখুন। নামানোর আগে উপরে আলো ঘি ছড়িয়ে দিন। অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার 'দলমা'।
২) কণিকা -
'কণিকা' আমাদের এখানকার মিষ্টি পোলাওয়ের মতো। এটা জগন্নাথ দেবকে নৈবেদ্য দেওয়া হয়।
উপকরণ -ভালো বাসমতি চাল,ঘি, কাজু,কিসমিস,এলাচ ও দারচিনি(আস্ত ও গুঁড়ো দু'টোই),চিনি ও নুন।
প্রণালী - প্রথমে চাল ৯০% সেদ্ধ করে আলাদা রাখুন। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে এলাচ ও দারচিনি(গোটা) ফোড়ন দিন। ভালো গন্ধ বের হলে ভাত দিয়ে খুব ভালো কতে নাড়াচাড়া করুন। ৩/৪ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে পরিমাণ মতো নুন,চিনি ও গুঁড়ো দারচিনি মিশিয়ে আরো ২/৩ মিনিট রান্না হতে দিন। এবার নামিয়ে গৃহ দেবতাকে উৎসর্গ করে নিজেদের জন্য পরিবেশন করুন।