West Bengal

1 week ago

Debangshu Bhattacharya : নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে হেনস্থার শিকার দেবাংশু

Debangshu Bhattacharya (File Picture)
Debangshu Bhattacharya (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তীব্র গরমের মধ্যেই তমলুক লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ল নন্দীগ্রামে। তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে উঠল চোর চোর স্লোগান। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রচার ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তবে বচসা-হাতাহাতির পরেও এ দিন তৃণমূল প্রার্থী তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচি চালিয়ে যান। টোটোর মাথায় মাইক বেঁধে তৃণমূলকর্মীরা পাড়ার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মিছিল করেন। প্রতিটি মোড়ে ফুল ছড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানান কর্মী-সমর্থকরা।

নির্ধারিত সূচি মেনে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের ভেকুটিয়া এলাকায় জনসংযোগ ও প্রচার কর্মসূচি ছিল তৃণমূল প্রার্থীর। এ দিন তিনি দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে পাড়ার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন। মন্দিরে বসে করতালও বাজান। শুরু থেকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও তাল কাটে কর্মসূচির শেষ লগ্নে।

জনসংযোগের শেষে তিনি যখন এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে খেতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে চোর চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পরে খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেরার পথেও ফের তাঁকে দেখে স্লোগান দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই দলের সমর্থকেরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

দেবাংশু বলেন, ‘এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে আমি যখন খেতে যাচ্ছিলাম, তখন আমার পথ আটকানো হয়। আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। এমনকী, ধাক্কা দেওয়া হয়। আমার মোটরবাইকে ভাঙচুরেরও চেষ্টা করা হয়। সব বিজেপির লোকেরা করেছে। আমি এই বিষয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।’

তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘সকালে দুই বিজেপি কর্মী যখন এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করে। বিজেপি কর্মীরা এই মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সাময়িক ভাবে। প্রার্থীকে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আর বিজেপি কর্মীরা নয়, স্থানীয় মানুষজন চোর চোর বলে স্লোগান দিচ্ছিল।’

You might also like!