পূর্ব বর্ধমান : গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আবাসন সংকট দূর করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেছেন, বাংলা আবাস যোজনার আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে ইতিমধ্যে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতর ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে, যার প্রেক্ষিতে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকে পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩২ লক্ষ পরিবার কাঁচা বাড়িতে বসবাস করছেন, যা বর্ষার সময় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আবাস যোজনায় সহায়তা না করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভোটের আগে এই পাকা বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি বদ্ধপরিকর।
প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম হিসেবে ব্লক স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের কাজ চলছে, যার উদ্দেশ্য প্রকৃত সুবিধাভোগী পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করা। বুধবার রায়না ২ নম্বর ব্লকের গোতান অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সার্ভে কার্যক্রমের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। এই বিশেষ পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারগুলির মধ্যে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের বাংলা আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা।
সার্ভে শেষে সুপার সার্ভে করা হবে, যার মাধ্যমে যাচাই করা হবে যে সকল গরিব পরিবাররা যাতে প্রকৃতপক্ষে এই সুবিধা পায়। পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির পর নবান্নে পাঠানো হবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে প্রতিটি পরিবারকে প্রদান করা হবে, যাতে তারা স্থায়ী পাকা বাড়ি নির্মাণ করতে পারেন।এই উদ্যোগে রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের আবাসন সমস্যা মেটাতে আশার সঞ্চার হয়েছে।