রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু ব্যাংকিং ও আর্থিক ক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এদেশে গরিব এবং পিছিয়ে পড়া মানুষ যেভাবে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের পরিকাঠামো ব্যবহার করছেন তাতেই প্রমাণ হয় যে তারা নতুন এই অর্থনীতি কে খোলা মনে গ্রহণ করেছেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। কলকাতার সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়ামে আজ রাষ্ট্রায়ত্ব ইউকো ব্যাংকের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যাংকের দুটি মূল দায়িত্ব। সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ তৈরি করা। ব্যাংকিং ক্ষেত্র এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে না পারলে অর্থনৈতিক স্থিতি বিঘ্নিত হয় এবং বড় সমস্যার উৎপত্তি হয়। ইউকো ব্যাংক সহ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি যেভাবে এই দুই ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয়ে রেখে কাজ করছে তার তিনি প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন কে উৎসাহিত করতে ইউকো ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ গুলিকেও তিনি সাধুবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ একজন প্রাক্তন ব্যাংক কর্মী হিসেবে ব্যাংকিং সুবিধা দেশের প্রান্তিকতম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেন।
রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এখনো এ রাজ্যের সাড়ে ৪০০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকের শাখা নেই। ডিজিটাল অর্থনীতির সুফল গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে সমস্ত জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক শাখা খোলা জরুরী।
ইউকো ব্যাংকের নির্বাহী অধিকর্তা তথা মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সোম সংকর প্রসাদ জানান চলতি আর্থিক বছরে ব্যাংকের ব্যবসা ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যাএযাবতকালের রেকর্ড।
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রপতি ১৮ টি রাজ্যে ইউকো ব্যাংকের ৫০টি নতুন শাখার উদ্বোধন করেন। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায় রংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন। প্রথম জীবনে রাষ্ট্রপতি সেখানে শিক্ষকতা করেছেন। ইউকো ব্যাংকের কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি প্রকল্পের আওতায় ওই ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।