আগরতলা : রাজধানী আগরতলা শহরে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের তরফ থেকে তৎপরতা শুরু হয়েছ। এবিষয়ে ধলেশ্বর ১৪ নম্বর রোডে শান্তিনিকেতন ক্লাবে ক্লাবের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সচেতনতা বৈঠকে মিলিত হন পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের অধিকর্তা । আগরতলা পুর নিগমের তরফে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় রেখে শুরু হয়েছ ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি। শহরের ধলেশ্বর এলাকায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাই ওই এলাকায় চলছে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি।
ধলেশ্বর ১৪ নম্বর রোডে শান্তিনিকেতন ক্লাবে ক্লাবের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সচেতনতা বৈঠকে মিলিত হন পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের অধিকর্তা ডাঃ অঞ্জন দাস, যুগ্ম অধিকর্তা ডাঃ সৌমিত্র মল্লিক, পশ্চিম জেলার মুখা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রঞ্জন বিশ্বাস, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিয়েলেন্স অফিসার ডাঃ অর্পিতা সিনহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অধিকর্তা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ক্লাবের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মশার লার্ভার বংশবৃদ্ধির স্থানগুলো ধ্বংস করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ডেঙ্গি রোগের লক্ষণ ও ডেঙ্গি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয় সম্পর্কেও আলোকপাত করেন তাঁরা। পাশাপাশি সার্বিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
তাছাড়া, কমিউনিটি হেলথ অফিসার, এমপিডব্লিও ও আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর লক্ষণযুক্তসন্দেহভাজন রোগীদের শান্তিনিকেতন ক্লাবের গৃহে নিয়ে আসেন। সেখানে তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালে পাঠানো হয়। শান্তিনিকেতন ক্লাবের কর্মকর্তাদের এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে অনতিবিলম্বে সচেতনতা সভার আয়োজন করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মশার লার্ভার বংশবৃদ্ধি হতে পারে এমন সব জায়গা শনাক্ত করা হচ্ছে এবং জমা জল পরিষ্কার করা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে জনসচেতনতায় মাইকিং ও ফগিং মেশিনে মশা নিরোধক ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় যারা আশা কর্মী রয়েছেন তাদেরকে বলা হয়েছে এলাকায় নজর রাখার জন্য। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণিদের বলা হয়েছে শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য।