Travel

11 months ago

Dwarkanagari: সাবমেরিনে চেপে পাড়ি দিতে চান কৃষ্ণের দ্বারকানগরীতে? জেনে নিন সব তথ্য

Dwarkanagari visit by sub merin (Symbolic Picture)
Dwarkanagari visit by sub merin (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতের দুই প্রাচীন মহাকাব্যের সব ঘটনা ও পুরাণের সত্যতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে না না মত প্রচলিত আছে। সেই মর্মেই  দ্বারকার অস্তিত্ব অনেক ঐতিহাসিকই মেনে নিতে পারেননি।

১০ থেকে ২০ হাজার বছর আগে পৃথিবীতেই নগর সভ্যতা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল এ ভাবা প্রায় অসম্ভব। তবে এটাই সত্যি। সম্প্রতি এই সভ্যতার খোঁজ দিয়েছে ভারত সরকারের মেরিন আর্কিওলজি বিভাগ। ভারতের গুজরাট রাজ্যের সমুদ্রের গল্ফ অফ খামবাট থেকে সাত মাইল দূরে সন্ধান পাওয়া গিয়েছি পাশাপাশি দু'টো শহর যার আয়তন পাঁচ বর্গমাইল। এবার সহজ হচ্ছে হাজার হাজার বছর আগে সাগরে ডুবে যাওয়া ভগবান শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা নগরী দেখতে যাওয়ার সুযোগ। সমুদ্রের তলায় ডুবে যাওয়া এই দ্বারকানগরী থেকে আরব সাগরে যাত্রীবাহী সাবমেরিন চালাতে চলেছে গুজরাট সরকার। সাবমেরিনটির ওজন হবে প্রায় ৩৫ টন। এতে একসঙ্গে ৩০ জন বসতে পারবেন। দুইজন ডুবুরি এবং একজন গাইড থাকবে।

রাজ্য পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হরিত শুক্লা জানিয়েছেন, এই দেশীয় সাবমেরিনটি শুধুমাত্র মাজগাঁও ডক থেকেই পরিচালিত হবে। জন্মাষ্টমী বা দীপাবলির দিন থেকে শুরু হবে এই সাবমেরিন চলাচল। সাবমেরিনটি সমুদ্রের ৩০০ ফুট গভীরতায় নামবে। গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এই সাবমেরিনে চাপতে গেলে বেশ মোটা অঙ্কের টাকাই ব্য়য় করতে হবে আপনাকে। তবে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে গুজরাট সরকার ভাড়া কমাতে পারে মনে করা হচ্ছে। গুজরাট সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোম্পানি মাজাগাঁও ডক শিপইয়ার্ডের মধ্য়ে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সামিটে এসম্বন্ধে ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সাবমেরিনে যে যে বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে 

*৩৫ টন ওজনের সাবমেরিনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। ৩০ জনের বসার জায়গা থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসকার সরঞ্জাম থাকবে সাবমেরিনটিতে।

**দুই সারিতে বসবেন ২৪ জন যাত্রী। এছাড়াও থাকবেন দুইজন সাবমেরিনার, দুইজন ডুবুরি, একজন গাইড ও একজন টেকনিশিয়ান।

***প্রতিটি সিটের পাশেই থাকবে জানলা। ফাইবার গ্লাসের জানলা দিয়ে গভীর সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ মিলবে। ৩০০ ফুট গভীরতায় সাবমেরিনের স্বচ্ছ জানলা দিয়েই অতল সমুদ্রকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

****অপারেটিং এজেন্সি যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক, ফেস মাস্ক এবং স্কুবা ড্রেস সরবরাহ করবে। সেগুলির ভাড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভাড়ার টিকিটে।

*****উন্নত প্রযুক্তির এই সাবমেরিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মতো সুবিধাও থাকবে। এমনকি সাবমেরিনে বসেও, আপনি সামনের পর্দায় অভ্যন্তরীণ গতিবিধি, সমুদ্রের তলার বিভিন্ন প্রাণী দেখতে ও সেগুলির ছবি তুলতে পারবেন, প্রাণীগুলির চলাফেরার ভিডিয়ো রেকর্ডও করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ম ও সংস্কৃতির হাত ধরে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পও গ্রহণ করেছে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কাশী বিশ্বনাথ করিডোর, মহাকাল লোক, অযোধ্যা, কেদারনাথ, সোমনাথ এবং দ্বারকা করিডোর এই প্রকল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

You might also like!