দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: UPI অর্থ্যাৎ অনলাইন লেনদেনে এবার নয়া পরিবর্তন। ২০শে ফেব্রুয়ারি অর্থ্যাৎ আজ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন নিয়ম।ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস আজকের দিনে অনলাইন ট্রানজাকশনের বড়ো মাধ্যম। এই প্রচলিত মাধ্যমে বর্তমানে নির্ভরশীল বহু মানুষ। প্রত্যহ লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করেন UPI -নামক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া নতুন একটি নিয়ম চালু করতে চলেছে, যা UPI চার্জব্যাক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই নিয়মের ফলে UPI লেনদেন আরও নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ হতে চলেছে।
* চার্জব্যাক কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
চার্জব্যাক হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে গ্রাহক যদি ভুলবশত লেনদেন করে থাকেন বা কোনো লেনদেন ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই অর্থ ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকে। এটি মূলত রেমিটিং ব্যাংক (যে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হয়) দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে, T+0 সময়সীমার মধ্যে URCS (Unified Real-time Clearing and Settlement)-এর মাধ্যমে চার্জব্যাক প্রসেস করা হয়। তবে দ্রুততার কারণে অনেক সময় এটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না এবং গ্রাহক ও ব্যাংক—উভয়ের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।
* বর্তমানে চার্জব্যাকের সমস্যা?
১) পর্যাপ্ত সময়ের অভাব: চার্জব্যাক নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক ও গ্রাহকদের একই দিনে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা অনেক সময় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২) ব্যাংকের জরিমানার ঝুঁকি: যদি চার্জব্যাক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয়, তাহলে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানা করতে পারে।
৩) চার্জব্যাক ব্যর্থ হওয়া: অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক চার্জব্যাকের জন্য অনুরোধ করলেও, প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
উক্ত সমস্যা গুলির সমাধান করতেই NPCI নতুন নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে।
নিম্নে উল্লেখিত হলো নতুন নিয়ম :
১) ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে UPI চার্জব্যাক স্বয়ংক্রিয় গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা হবে।
২) চার্জব্যাক এবং রিটার্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন ও প্রত্যাখ্যান ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
৩) ব্যাংক ও গ্রাহকদের জন্য চার্জব্যাক প্রসেসের সময়সীমা বাড়ানো হবে।
৪) এই নতুন নিয়ম শুধুমাত্র ‘বাল্ক আপলোড’ এবং ‘UDIR অপশন’-এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
৫) ফ্রন্ট-এন্ড লেনদেনের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে না।
* নতুন নিয়মের সুবিধা :
১) নতুন নিয়মের ফলে UPI লেনদেন আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।
২) চার্জব্যাকের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া যাবে।
৩) ব্যাংকগুলোর জরিমানার ঝুঁকি কমবে।
৪) ডিজিটাল লেনদেন আরও স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য হবে।
৫) ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত হবে।
৬) UPI লেনদেনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা।
ইউপিআই বর্তমানে ভারতে অন্যতম জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যম। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে UPI লেনদেন ১৬.৯৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে ২৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও গঠনমূলক এবং শক্তিশালী করতে NPCI -র এই পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা নেবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।