দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ মুহূর্তেই মিশে গেল শোকে। পাকিস্তানের করাচিতে শূন্যে গুলি চালিয়ে ‘উদযাপন’ করতে গিয়ে প্রাণ হারাল এক শিশু-সহ অন্তত তিনজন। আহত হয়েছেন ৬৪ জনেরও বেশি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা শহরে। পাকিস্তানে ১৫ আগস্টের আগেই, ১৪ আগস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই করাচির বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় জমজমাট উদযাপন। আতসবাজি, বাইক শোভাযাত্রা, পতাকা মিছিলের সঙ্গে চলছিল শূন্যে গুলি চালিয়ে উল্লাস। আর সেই ‘উল্লাস’ই পরিণত হয় মৃত্যুর মিছিলে।
করাচির আজিজাবাদ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ বছরের এক শিশুর। কোরাঙ্গি এলাকায় নিহত হয়েছেন স্টিফেন নামে এক যুবক। শূন্যে ছোঁড়া গুলিই ছুটে এসে লেগেছে পথচলতি মানুষ, শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের গায়ে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া গোটা করাচিজুড়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে উদযাপনের জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলগুলিতে পৌঁছায় পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। একইসঙ্গে বুধবার রাতে কারচির বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে মোট পাঁচ জনের। ইতিমধ্যেই ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানে শূন্যে গুলি চালিয়ে উৎসব পালনের প্রবণতা নতুন নয়। গত বছরও স্বাধীনতা দিবসের দিন এভাবে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৯৫ জনের। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্কতা জারি সত্ত্বেও পাল্টায়নি এই বিপজ্জনক ‘উদযাপনের’ ধরন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয়দের বয়ান এবং গুলির উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবছর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সত্ত্বেও কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয় না?