কলকাতা, ১ নভেম্বর : এবছরের কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (‘ক্যাট’) আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গত বছর (২০২২) ’২১-এর তুলনায় এই নিবন্ধনের বৃদ্ধির হার ছিল ১১%। সংখ্যার হিসাবে ২.৫৫ লক্ষ আবেদনকারী।
ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ১৯৭৭ সালে ক্যাট পরীক্ষার সূচনা হয়। এ বছর এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। প্রায় ৩.৩০লক্ষ প্রার্থী সারা দেশের শীর্ষ কলেজগুলিতে এমবিএ ভর্তির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঠ সমপান্তে অনেকেই বিদেশে মোটা বেতনের কাজ পেয়ে চলে যান।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট লখনউয়ের ডিসিশন সায়েন্সেস এরিয়ার অধ্যাপক এবং ক্যাট ২০২৩-এর আহ্বায়ক সঞ্জিত সিংয়ের মতে, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা, এবং পুরো ক্যাট টিম, এই পরীক্ষায় আবেদনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রচারমাধ্যমে লেখালেখি, প্রার্থীদের সময়োপযোগী অনুস্মারক, আরও পরীক্ষামূলক শহরের সংযোজন অর্থাৎ পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাবৃদ্ধি আরও বেশি পড়ুয়াকে ক্যাট-এর জন্য আবেদন করতে উৎসাহিত করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যবহারকারী-বান্ধব অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম তৈরির মতো উদ্যোগ।
রেকর্ড-উচ্চ নিবন্ধন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, তিনি বলেন, “এই বছর, গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফ্ট, মেটা ইত্যাদির মতো কিছু বড় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা, কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। কিছু স্টার্টআপও বিভিন্ন সেক্টরে কাটছাঁটের ঘোষণা করেছে। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁরা অনেকে আরও উচ্চ শিক্ষা নিতে পছন্দ করছে।”
ভারতে মোট আইআইএম-এর সংখ্যা ২০। প্রতি বছর এগুলোর মোট আসনসংখ্যা ৫,১০০। গড়ে এগুলোর ফিজ ২০ লক্ষ টাকা। আগের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় আর্থিকভাবে ততটা স্বচ্ছল না হলেও মেধাবী পড়ুয়াদের অনেকেই আইআইএম-এ ঢোকার চেষ্টা করছে।
দেশের মধ্যে প্রাচীনতম আইআইএম কলকাতায়। এটির যাত্রা শুরু ১৯৬১-তে। এর ১২ বছর বাদে তৈরি হর বেঙ্গালুরুর আইআইএম। নবীনতম আইআইএম জম্মুতে। এটি তৈরি হয় ২০১৬। এমবিএ ছাড়াও এক্সিকিউটিভ এমবিএ, পিজিপি, পিজিডিএম প্রভৃতি পাঠ্যক্রমের আয়োজন করে বিভিন্ন আইআইএম। ভারত সরকার এগুলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলে ঘোষণা করেছে। আইআইএম কলকাতা এবং আইআইএম আমদাবাদ এবং আইআইএম বেঙ্গালুরু রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায়।