দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC) এর পাঁচ বছর অন্তরে হওয়া দুটি মূল্যায়ন চক্রের মধ্যে গ্রেডের চূড়ান্ত পরিবর্তন দেখা গেছে দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানে। গ্রেডিং-এর এই অবিশ্বাস্য পরিবর্তনকে পুনরায় যাচাই করার জন্য NAAC স্থগিত রেখেছে তাদের গ্রেডিং পক্রিয়া।
রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC) এর পাঁচ বছর অন্তরে হওয়া দুটি মূল্যায়ন চক্রের মধ্যে গ্রেডের চূড়ান্ত পরিবর্তন দেখা গেছে দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানে। গ্রেডিং-এর এই অবিশ্বাস্য পরিবর্তনকে পুনরায় যাচাই করার জন্য NAAC স্থগিত রেখেছে তাদের গ্রেডিং পক্রিয়া। ইতিমধ্যে NAAC তাদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে এবং সেই মূল্যায়নে দেখা গেছে যে, বেশ কয়েকটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিং-এর অবনমন ঘটেছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রাপ্য গ্রেড থেকে অবৈধভাবে বেশি গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে অডিটর জেনারেল দ্বারা NAAC-এর এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার গরমিল সকলের সামনে এসেছে।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC) হল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান মানদণ্ড। দেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (HEls) নিয়মিত মূল্যায়ন ও শিক্ষার গুনমানের নিশ্চিতকরণের দায়িত্বে আছে NAAC। প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ন্যাকের স্বীকৃতি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বর্তমানে NAAC এর দেওয়া গ্রেডের ওপর প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন সংস্থা। কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল দ্বারা উঠে এসেছে যে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর NAAC যে মূল্যায়ন পরিচালনা করে এবং প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি গ্রেড দেয়, সেখানে প্রচুর গরমিল রয়েছে। ভারতের ৩ টির মধ্যে ১ টি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় NAAC দ্বারা A গ্রেড পেয়েছে। এর মধ্যে ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয় চিত্তাকর্ষক ভাবে A++ সহ শীর্ষ স্থান পেয়েছে। এছাড়াও, তাদের মধ্যে আটটি, মূলত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, যারা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স (IIS) এর থেকেও উচ্চতর NAAC স্কোর পেয়েছে।
এনআইআরএফ (NIRF) অনুসারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স দেশের এক নম্বর ক্যাম্পাস। এছাড়া ৩০ টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, পাঁচ বছরের ব্যবধানে হওয়া NAAC মূল্যায়ন গ্রেডে অবিশ্বাস্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু NAAC দ্বারা তাদের পুনর্মূল্যায়ন করা হলে ছয়টি কলেজের গ্রেড কমে যায়, যা পূর্বের রেটিংয়ে সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। এই ঘটনা সামনে আসার পর বেশ কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (HEls) পুনরায় নতুন একটি দলকে পাঠানো হয়েছে আগের প্রদত্ত স্কোরগুলিকে যাচাই করার জন্য। ২০২৩ সালেই এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হয়। সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরে, NAAC এই সমস্যাটি স্বীকার করেছে এবং এতগুলি ভারতীয় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (HEls) স্কোর কী ভাবে বাড়ানো হয়েছিল তা বোঝার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।