
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই বিয়ের ভরা মরশুম, আর ক'দিনের মধ্যেই বহু বাড়িতে সানাইয়ের সুর শোনা যাবে। বিয়ে নিঃসন্দেহে জীবনের এক অত্যন্ত বিশেষ দিন, যার পর থেকেই শুরু হয় এক নতুন জীবন।কিন্তু প্রায়শই দেখা যায়, অফিসের বিপুল চাপ আর বিয়ের হাজারো কাজ সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে আর মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না। এই অবস্থায় হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকটি দিন। বিয়ে নিজের হোক বা প্রিয়জনের, এই বিশেষ দিনে নিজেকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর দেখানোর চেষ্টা থাকে সকলেরই।বাকি থাকা এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে নিজেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করবেন? সেই জরুরি টিপসগুলি রইল আপনার জন্য...
মুখের যত্ন —
সুস্থ ত্বক এবং মুখের গ্লো বজায় রাখার জন্য, রাতের বেলা ত্বকের যত্ন শুরু করুন। প্রতিদিন পরিষ্কার, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং মাস্ট। আপনার ব্রণ এবং দাগ থাকে, তা হলে প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক দিয়ে তার চিকিৎসা করুন। প্রয়োজনে এখনই কোনও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সিরাম লাগান, ওষুধ খান। সপ্তাহে একবার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করান। ত্বক পরিষ্কার রাখুন। এখন বিয়ের মুখে এসে নতুন পণ্য ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। উল্টো প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
হাত-পায়ের যত্ন নিতে ভুলবেন না —
মুখের পাশাপাশি, হাত ও পায়ের ত্বকও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার মুখ আর হাত-পায়ে ট্যান ভর্তি থাকলে দেখতে ভালো লাগে না। সপ্তাহে এক বার আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করুন। ভালো ভাবে ময়েশ্চারাইজড রাখুন। কমপক্ষে তিনটি ম্যানিকিউর এবং পেডিকিউর করুন। খুব বেশি ট্যান থাকলে, ডি-ট্যান করাতেই হবে।
চুলের যত্ন —
এই সময়ে সপ্তাহে অন্তত তিনবার চুলে শ্যাম্পু করুন। প্রতিবার শ্যাম্পু করে কন্ডিশন করুন। বিয়ের আগে দুটো স্পা সেশন করাতে পারলে ভালো। চুল নরম এবং সিল্কি রাখতে প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
বডি পলিশিং সেরে ফেলুন —
আজকাল বডি পলিশিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ত্বক খুব সংবেদনশীল না হলে এক বার বডি পলিশিং করে নিতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। বিয়ের আগে অন্তত ৮-৯ দিন সময় না থাকলে এটা না করানো ভালো। অনেক সময় অনেকের ত্বক সংবেদনশীল না হলেও কোনও প্রোডাক্টের কারণে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
পুষ্টি এবং শারীরিক কার্যকলাপ —
সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে, আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। খাদ্যতালিকায় ফাইবার থেকে শুরু করে প্রোটিন, ভিটামিন সি এবং ই সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করুন। তবে তার ভারসাম্য বজায় রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফিট থাকার জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারেন।
