shaving tips for glowing skin: শেভিংয়ের পর ত্বকে অস্বস্তি? র্যাশ এড়াতে এই ৬টি টিপস আবশ্যক!
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শেভ করার পর হঠাৎই মুখে লালচে র্যাশ, চুলকানি কিংবা ফুসকুড়ির মতো সমস্যায় পড়ছেন? এটি অনেকেরই পরিচিত সমস্যা। বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বক যাঁদের, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। মূলত শেভ করার সময় কিছু সাধারণ ভুল থেকেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে সহজেই র্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
∆ র্যাশ এড়াতে শেভ করার আগে মেনে চলুন নিম্নলিখিত নিয়মগুলি-
১)ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুনঃ শেভ করার আগে মুখ ঠান্ডা বা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ছিদ্রগুলি খুলে যাবে এবং ধুলোমাটি বা মৃত কোষ দূর হবে। পরিষ্কার ত্বকে শেভ করলে ইনফেকশনের সম্ভাবনাও কমে।
২)গুণমানসম্পন্ন শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুনঃ রাসায়নিকবিহীন, অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইল যুক্ত শেভিং ক্রিম ব্যবহার করাই ভালো। এগুলি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ব্লেড সহজে চলাচলে সাহায্য করে।
৩)তীক্ষ্ণ ও পরিষ্কার ব্লেড ব্যবহার করুনঃ পুরনো বা মরিচা ধরা ব্লেডে শেভ করলে ত্বক কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও হতে পারে। তাই সবসময় পরিষ্কার, ধারালো ব্লেড ব্যবহার করুন।
৪)একই জায়গায় বারবার রেজার টানবেন নাঃ বারবার একই স্থানে রেজার চালালে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং র্যাশের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব একবারেই ক্লিন কাট করতে চেষ্টা করুন।
৫)শেভ করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিনঃ শেভের পর ঠান্ডা জল মুখে দিলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং র্যাশের সম্ভাবনা কমে।
৬)অ্যাফটার শেভ বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ অ্যালকোহল মুক্ত অ্যাফটার শেভ বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকে শীতলতা আসে এবং র্যাশ বা ফুসকুড়ির সমস্যা কমে যায়।
শেভ করার পর র্যাশ হওয়া বিরক্তিকর হলেও এটি এড়ানো একেবারেই অসম্ভব নয়। কিছু সহজ ও নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুললেই ত্বক থাকবে মসৃণ, সতেজ ও র্যাশমুক্ত। নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে শেভিং পণ্য বেছে নেওয়া এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাই এখানে মূল চাবিকাঠি। স্বাস্থ্য ভালো তো, সব ভালো — তাই ত্বকের প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি।
You might also like!
