Life Style News

5 hours ago

Christmas 2025: অফিসের ডেডলাইনে বড়দিন মাটি? এই ট্রিকগুলো জানলেই ফুরফুরে ফেস্টিভ মুড!

Christmas Festive Mood Hacks
Christmas Festive Mood Hacks

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বছর প্রায় শেষ। সামনে বড়দিন, বর্ষবরণ—উৎসবের আবহে চারদিকে সাজো সাজো রব। এই সময় কেউ পাহাড়-সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন, কেউ আবার বাড়িতেই বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। কিন্তু উৎসবের আনন্দের মাঝেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় কাজের চাপ ও ছুটির সমস্যা। কারণ উৎসব এলেই যে অফিসের ডেডলাইন থেমে যাবে, তা নয়। ফলে বহু ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিনের প্ল্যান কাটছাঁট করতে বাধ্য হন কর্মজীবীরা। তবে সঠিক পরিকল্পনা আর সময় ব্যবস্থাপনা থাকলে কাজ ও উৎসব—দুটোই সামাল দেওয়া সম্ভব। বছরের এই সময়ে কাজের চাপ তুলনামূলক বেশি হলেও কিছু কৌশল মেনে চললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমানো যায়।

১. উৎসবের মরশুমে কাজ করতে কারই বা ভালো লাগে! ফলে কাজের গতি কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কাজ সেরে বেরতে দেরি হয়ে যায়। প্রথমেই এই স্বভাবটা বদলে ফেলতে হবে। সঠিক টাইমে অফিস যেতে হবে, বেরতেও হবে ঠিক সময়ে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতেই হবে। প্রয়োজনে অফিসে পৌঁছেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েদিন, এদিন অতিরিক্ত সময় থাকা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। যাবতীয় যা কাজ তা নির্দিষ্ট শিফটের মধ্যেই শেষ করবেন।

২. যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে ফাঁকা সময়ে কাজ এগিয়ে রাখার সুযোগ। উৎসবের দিনগুলোর জন্য বসের সঙ্গে কথা বলুন। যদি সম্ভব হয় ভোরের দিকে বা বেশি রাতে বসে পড়ুন ল্যাপটপ নিয়ে। তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে, অফিসের প্রয়োজনেও কিন্তু একইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে আপনাকে।

৩. আর পাঁচটা দিনের থেকে অনেকটা আলাদা উৎসব। তাই ঘুম থেকে উঠেই ঠিক করে নিতে হবে যে কোন কোন কাজ আজ না করলেই নয়। নিজের প্রায়োরিটি লিস্টটা যদি সঠিকভাবে তৈরি করে ফেলা যায়, দেখবেন বাকি সমস্যা ভ্যানিশ!

৪. তবে কাজের চাপ, উৎসবকে ব্যালেন্স করতে গিয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুললে কিন্তু হবে না। বেশি করে জল খেতে হবে। বুঝে শুনে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। অন্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ভেস্তে যাবে সব প্ল্যান।

৫. সত্যিকারের ব্যালেন্স মানে সবদিকেই একইরকম ভাবে গুরুত্ব দিতে। অর্থাৎ আপনি যতটা এফোর্ট অফিসের কাজে দিচ্ছেন, ততটাই ব্যক্তিগত জীবনকে, নিজেকেও দিতে হবে। কাজ থেকে বেরিয়ে গেলে চেষ্টা করুন অফিস থেকে পুরোপুরি নিজেকে ডিসকানেক্ট করার। ফোন, মেসেজ, ইমেল আবার পরে। যতটুকু সময় প্রিয়জনদের জন্য ধার্য, সেটার পুরোটা তাঁদের দিন। দেখবেন, তাতে নিজেকেও রিফ্রেশ লাগবে। পরের দিন কাজের এনার্জিও পাবেন।

You might also like!