
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৬ ডিসেম্বর : ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের ট্রলারে ধাক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ! ট্রলারে ছিলেন মোট ১৬ জন মৎস্যজীবী। ধাক্কার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। মৎস্যজীবীরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য উত্তাল সমুদ্রে কোনওমতে ভেসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই ১১ জনকে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ঘটনায় পাঁচজন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাঁরা কি বেঁচে রয়েছেন? নাকি ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যেই আটকে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী গভীর সমুদ্রে এদিনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
এদিন নামখানায় ফিরে এলেও আতঙ্ক কাটেনি উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের। ট্রলারে এসে নৌসেনার হামলা ও ডুবে যাওয়ার কথা মনে আসতেই কেঁপে উঠছেন অনেকে। পাঁচ সঙ্গী কোথায় আছেন? তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা, তাই নিয়েও ঘোর দুশ্চিন্তায় তাঁরা।
উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের প্রাথমিক চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজ পাওয়ার জন্য হন্নে হয়ে ঘুরছেন পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সদস্যদের অনেকেই। তাঁদের খোঁজ পেতে মরিয়া উপকূল রক্ষী বাহিনী। বঙ্গোপসাগরে কোথায় ডুবেছে ওই ট্রলারটি? সেই জায়গা চিহ্নিত করে সেটি জলের উপরে তোলার চেষ্টা চলছে। বঙ্গোপসাগরে কি ঢেউয়ের স্রোতে ভেসে গিয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা। নাকি ডুবে যাওয়া ট্রলারেই তাঁরা আটকে? সেসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় জলসীমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে চলছে তল্লাশি।
