দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অনেক গর্ভবতী নারী প্রতিদিন কাড়ি কাড়ি ভাত খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের পিছু নেয় একাধিক অসুখ। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, প্রেগন্যান্সিতে ভাত খেলে ঠিক কোন কোন রোগের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে? এই বিষয়ে বিশদে জানতে চাইলে ঝটপট এই প্রতিবেদনটির দিকে চোখ রাখুন। তাতেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
বাড়তে পারে সুগার
ভাতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ রয়েছে। আর এই উপাদান সুগার বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই গর্ভাবস্থায় অত্যধিক পরিমাণে ভাত খাওয়ার লোভ সামলে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষত, জেস্টশনাল ডায়াবিটিস থাকলে যেন তেন প্রকারেণ ভাতের থেকে কিছুটা হলেও দূরত্ব বজায় রাখুন। তাহলেই আপনারা সুগারকে বশে রাখতে পারবেন। নচেৎ বিপদের শেষ থাকবে না।
ঊর্ধ্বমুখী হবে ওজন
গর্ভাবস্থায় ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতেই হবে। নইলে এই সময়ে পিছু নিতে পারে ব্লাড প্রেশার, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে একাধিক গুরুতর অসুখ। তাই যেভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে এড়িয়ে চলুন ভাত। কারণ এই কার্ব যুক্ত খাবার হল ক্যালোরির ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত অত্যধিক পরিমাণে ভাত খেলেই যে ওজন বাড়বেই, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই ওজনকে বাগে আনতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ভাত খাওয়া কমান।
সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বাতকর্মে
ভাতে অত্যধিক পরিমাণে স্টার্চ রয়েছে। আর অন্ত্রে মজুত একাধিক ব্যাকটেরিয়া এই উপাদানকে ভেঙে সহজেই গ্যাসে পরিণত করে ফেলে। তাই তো অত্যধিক ভাত খাওয়ার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। এমনকী বাড়তে পারে বাতকর্মের প্রকোপ। তাই এমন বিদঘুটে সমস্যার থেকে দূরত্ব বজায় রাখার ইচ্ছে থাকলে ভাত খাওয়ার উপর লাগাম টানুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে।