দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার গুড ফ্রাইডের জন্য ছুটি। শনি এবং রবিবার সরকারি ছুটি থাকায় ২৮ মার্চ রাজ্যের চলতি অর্থবর্ষ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। এদিকে মাস শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার কারণে সরকারের বেশ কিছু বিভাগের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
ট্রেজারি বা ‘পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ অফিসে আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে গেলে সংশোধিত বাজেট খরচের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দফতর। ২৮ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ৩০ এবং ৩১ মার্চ ট্রেজারি বা ‘পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ অফিসগুলি খোলা থাকবে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের পেন্ডিং বা বকেয়া বিল ট্রেজারি বা ‘পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ অফিসগুলি গ্রহণ করবে ৩১ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নিয়ম মোতাবেক প্রতি অর্থবর্ষই শেষ হয়ে থাকে ৩১ মার্চ। এই বছর ২৯ মার্চ গুড ফ্রাইডে। পাশাপাশি শনি এবং রবিবার পড়েছিল ৩০ এবং ৩১ তারিখ। এদিকে ১ এপ্রিল সোমবার থেকে নয়া অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে। ফলে রাজ্যের সেচ, পরিবহণ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি সহ বেশ কিছু জরুরিকালীন কর্মের দফতরের অসুবিধা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলেই যদি সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যেত সেক্ষেত্রে সংশোধিত বাজেটের খরচ নিশ্চিত করা নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল।
সরকারি নির্দেশিকা
সেচ, পরিবহণের মতো দফতরগুলিকে নিয়মিত কাজের মধ্যে থাকতে হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য তাঁদের সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি তিন দিন আগেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষের জন্য বন্ধ হয়ে যেত তাহলে সমস্যা তৈরি হত।
জানা গিয়েছে, কোনওভাবেই যাতে সাধারণের পরিষেবার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দফতরগুলিকে সমস্যায় পড়তে না হয় সেই জন্যই অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে বিল সাবমিট না করা হলে টাকা ল্যাপস হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যেত। জরুরি কিছু বিভাগের ক্ষেত্রে বিল সাবমিট করতে যে সমস্যা তৈরি হতে পারত, তা এই বর্ধিত সময়ের ফলে আর হবে না। আর্থিক লেনদেনর কাজ করতে পারবে তারা। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে তারা।