দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃপ্রাথমিক ২০০৯-এ উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার তিনি দুই মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০ পরীক্ষার্থী, যাঁরা গতকাল পর্যন্তও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, তা স্বীকার করল উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। আদালতের নির্দেশ, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদেরকেও ওই নিয়োগ তালিকায় আনা হবে। পাশাপাশি, আগামী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাম আমলে প্রাথমিক নিয়োগের নতুন প্যানেলেও গণ্ডগোলের অভিযোগ ছিল। নতুন প্যানেলেও স্বজনপোষণ ও অযোগ্য প্রার্থীদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন ৮০০ চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নেন উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আপনারা কী চান? তদন্ত হোক? নাকি বোর্ড চাকরি দেবে?” সংসদের তরফে বলা হয়, “আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত।”
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেসময় ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতে ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়। পরের এক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ জেলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও চারটি জেলায় নিয়োগ হয়নি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ ছিল তালিকায়। একে একে আদালতের নির্দেশে বাকি জেলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেলেও বাকি ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এদিন সেই নিয়োগ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী রবিলাল মৈত্র, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, অম্লান মুখোপাধ্যায় ও রাজীতলাল মৈত্র জানান, সব জেলার ক্ষেত্রে আদালত আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবার উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও বঞ্চিতদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁদের দাবি, এই প্রার্থীরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছিলেন।