নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল : এসএসসি নিয়োগ মামলায় চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার, ৬ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এজলাসে হয় শুনানি। অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’ এসএসসি-র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও, এত বিপুল সংখ্যক চাকরি কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’
কলকাতা হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এই সময় নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। তার পরেই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।