কলকাতা, ১২ জুন : “না। এটা ১৯৪৬ সালের নোয়াখালী নয়। এটা ২০২৫-এর পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে দিনেদুপুরে কাপুরুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নির্বিকার চেহারার সামনে, বাঙালি হিন্দুরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে আরেকটি অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা!” বৃহস্পতিবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার। ভিডিয়ো দাখিল করে তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি মালদহ ও মুর্শিদাবাদে হিন্দুশূন্য করার জেহাদি ব্লুপ্রিন্ট কোনও সতর্কতা ছিল না। সেই চক্রান্ত ছিল বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে সরাসরি হুঁশিয়ারি! কিন্তু নিঃশব্দ, আত্মবিস্মৃত বাঙালি হিন্দুরা সেটা শুনতেই চায়নি। আর আজ সেই আগুন এসে পৌঁছে গেছে কলকাতার উপকন্ঠে... গতকাল মহেশতলায়, রবীন্দ্রনগর থানার সামনে, প্রকাশ্য দিবালোকে একের পর এক পবিত্র তুলসী মঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। পাশে দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ কার্যত নিশ্চুপ, নির্বিকার হয়ে। না কোনো প্রতিবাদ, না কোনো প্রতিরোধ। এ দৃশ্য নতুন নয়। বাংলাদেশে একদিন হাজারো হিন্দু নারীকে তুলসী মঞ্চে প্রদীপ জ্বালানোর "অপরাধে" সহ্য করতে হয়েছে নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা। কারোর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেছে, কেউ সর্বস্ব হারিয়ে পাড়ি দিয়েছে এই বাংলায়। তখনও তারা আশ্রয় নিয়েছিল বিশ্বাস নিয়ে। আর আজ এপার বাংলায় আশ্রয় নেওয়া একসময়ের সর্বস্ব হারানো সেই বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাসকেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত তোষণনীতির হাত ধরে। একটার পর একটা তুলসী মঞ্চ ভেঙে ফেলা হচ্ছে, আর সেই ধ্বংসের উৎসবে পৈশাচিক উল্লাস করছে উগ্র মৌলবাদীরা। হিন্দুদের বিশ্বাসের উপর এ এক নির্মম আঘাত। আর মমতা? তিনি চুপ! কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত — তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। যে স্বপ্নের নাম গ্রেটার বাংলাদেশ।”
না, এটা ১৯৪৬ সালের নোয়াখালী নয়। এটা ২০২৫-এর পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে দিনেদুপুরে কাপুরুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত @WBPolice পুলিশের নির্বিকার চেহারার সামনে, বাঙালি হিন্দুরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে আরেকটি অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা!
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) June 12, 2025
সম্প্রতি মালদহ ও মুর্শিদাবাদে হিন্দুশূন্য করার জেহাদি… pic.twitter.com/tc5IbE0jZQ