kolkata

19 hours ago

SSC: প্রতিবাদ জানাতে কালো পোশাক পরে পরীক্ষা দিতে এলেন আন্দোলনকারী শিক্ষক মেহেবুব মন্ডল

Mehboob Mondal
Mehboob Mondal

 

কলকাতা, ৭ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে ৯ বছর পর সুপ্রিম নির্দেশেই নতুন করে সেই পরীক্ষা হচ্ছে রবিবার। মোট দু’দিন হবে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। রবিবার রয়েছে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। আর এদিন পরীক্ষা দিতে এসেও প্রতিবাদ জারি রাখলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিলেন তাঁরা।

রবিবার সকালে চিন্ময় মণ্ডল, মেহবুব মণ্ডল সহ আরও অনেককেই কালো জামা, পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষাকেন্দ্র আসতে দেখা গিয়েছে। যোগ্য হয়েও নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে শাস্তির সমান বলেই অভিহিত করেছেন তাঁরা। এদিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে চাকরিহারা শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটাই বিভীষিকাময়। আমরা যোগ্য হয়েও আজকে পরীক্ষা দেব। পুরোপুরি নতুনদের সঙ্গে একটা অসম লড়াই। এই লড়াই কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা নতুন আপার প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের আমরা সহকর্মী বলে থাকি, তাঁরাই আমাদের ইনভিজিলেটর হিসেবে কাজ করবেন। তাঁদের নজরদারিতে আমরা আজকে পরীক্ষা দিতে বসব। এটা আমাদের কাছে ভীষণ হতাশার। আমরা আমাদের নীতিবোধের কাছে হেরে যাচ্ছি। আমাদের মন কোনোভাবেই এটা মেনে নিচ্ছে না।’ এরপরই চিন্ময়ের সংযোজন, ‘দুর্নীতির কারণেই আমাদের চাকরিগুলো চলে গিয়েছে। আগামীদিনে এমনকি আজকের পরীক্ষাতেও যে দুর্নীতি হবে না, সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায় হলেও আমরা পুরোপুরি চক্রান্তের শিকার। প্রথম থেকেই পরীক্ষায় স্বচ্ছতা থাকলে আমাদের চাকরিগুলো যেত না।’

এদিন কালো পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডলও। মনে একরাশ ক্ষোভ নিয়েই পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন তিনি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই মেহবুব বলেন, ‘প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টা আমাদের কাছে বেশ কঠিন। সবার পক্ষে সম্ভবও নয়। যেমন সতীদাহ প্রথার নামে জোর করে মেয়েদের চিতায় তোলা হত, যেমন করে গ্যালিলিও, কোপারনিকাসকে দিয়ে আরোপিত মতামত বলিয়ে নেওয়া হত, ঠিক সেভাবেই আমাদেরও জোর করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, বিচারবিভাগের সহযোগিতায় পুনরায় অগ্নিপরীক্ষায় নামানো হচ্ছে। এর পরিণতি কী হবে আমরা জানি না।’

প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট । ফলে চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নতুন করে সেই পরীক্ষা হচ্ছে রবিবার।

You might also like!