দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃকসবার আনন্দপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল। তবে ওই মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার দুই।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম গৌর হরি গায়েন এবং আসরাফ মোল্লা ওরফে ভুতো। আনন্দপুর থানায় এফআইআরে দু’জনের বিরুদ্ধেই বিজেপি নেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। সোমবার দুই ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
আনন্দপুরের চৌবাগা এলাকায় পোস্টার লাগাতে বেরিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁদের পোস্টার, ব্যানার। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কসবা মণ্ডলের সভানেত্রী সরস্বতী সরকারকে কোপানো হয়। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই কসবা এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে গেরুয়া শিবির। সন্ধের দিকে উত্তেজনা আরও বাড়ে সেখানে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ইতিমধ্যে আনন্দপুরের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে মহিলা কমিশন। কসবার ঘটনা নিয়ে কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাতেই আক্রান্ত বিজেপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় শিশু ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
রবিবার দুপুরে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে দেবশ্রী চৌধুরীকে অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এদিকে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। স্থানীয়রা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।