দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:পুজোর আগে উত্তরবঙ্গে ফের তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের মরশুমকে সামনে রেখে তিনি মঙ্গলবার বিকেলে বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়িতে পৌঁছবেন। ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার তাঁর কর্মসূচি ডুয়ার্সে, যেখানে প্রশাসনিক সভায় সরাসরি চা-বাগান শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেবেন তিনি। এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের বিভিন্ন চা-বাগানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শ্রমিক মহলে ইতোমধ্যেই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোমবার শোনগাছি, নাকটি ও বাটাইগোল চা-বাগানে পৃথক সভা করে পাট্টা প্রাপকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের মাটিয়ালি ব্লকের ৮ জন শ্রমিককে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মঞ্চ থেকে পাট্টা প্রদান করবেন। এছাড়া বাকি শ্রমিকদেরও ওই দিনই জমির পাট্টা হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মাটিয়ালি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী স্নোমিতা কালান্দি জানান, “যেসব চা-বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া হবে, সেখানে গিয়ে আমরা সভা করেছি। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের জমির অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমিকদের পাট্টা সংক্রান্ত সব বিষয়ে জানানো হচ্ছে।”
মেটেলির চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী মুন্ডা, অঞ্জলি সাবাররা বলেন, “অনেক দিনের আমাদের দাবি ছিল জমির পাট্টার। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই জমির পাট্টা মিলবে। আমাদেরও নিজেদের জমি হবে। আর চা-বাগানের জমিতে থাকতে হবে না। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।” সোমবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিধাননগর অঞ্চল সভাপতি বিক্রম রুন্ডা ও চা-বাগান তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ শ্রমিকদের স্বনির্ভরতা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক বলেন, “এই পাট্টা পেলে চা শ্রমিকদের উপকার হবে। তাঁদের নিজস্ব জমি হবে। সেই জমিতে তাঁরা ঘরবাড়ি বানাতে পারবেন।” উল্লেখ্য, জেলা সফরে ইতিমধ্যে বোলপুর, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পুজোর আগে সরকারি পরিষেবা দিতে তিনি ডুয়ার্স যাচ্ছেন।