নদিয়া, ৪ জুন : 'বহিষ্কার' যেন ফিরল 'পুরস্কার' হয়ে! অনুযোগের গলিপথ নয়। লড়াই করে জনতার রায়েই ফের সংসদের রাজপথ ধরলেন মহুয়া মৈত্র।
পাশে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল পরিবার। রাজ্যের মানুষ। আর সুকান্ত ভট্টাচার্য। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে যখন সংবিধানের মন্দির ছাড়তে হল মহুয়াকে, তখন কণ্ঠে তুলে নিয়েছিলেন সুকান্ত-পঙক্তি। বলেছিলেন, 'আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই'। তা তুলেছেন বটে!
মহুয়া কি শুধু ভোটের লড়াই লড়েছেন? বহিরঙ্গে সেটুকুই। কেন্দ্র কৃষ্ণনগর। প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপির অমৃতা রায়। মেঘনাদের মতোই আড়াল থেকে সে লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছে বিজেপির তুখোড় ভোট মেশিনারি। সে লড়াইয়ে মহুয়া তো প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেইছেন। তবে, মহুয়ার এবারের লড়াই ছুঁয়ে ফেলেছিল অন্য মাত্রা। সে লড়াই গণতন্ত্রের। প্রশ্ন করার অধিকার বজায় থাকার। ক্ষমতার দিকে আঙুল তোলার স্পর্ধার লড়াই। আর ব্যক্তিগত ভাবে মহুয়ার কাছে এ লড়াই ছিল মর্যাদার। আত্মপ্রতিষ্ঠার।
অভিযোগ ছিল যে, মহুয়া সংসদের ওয়েবসাইটের লগ-ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দর্শনের অফিসকে দিয়েছিলেন। পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ মহুয়া অস্বীকার করেননি। তবে টাকা নিয়ে প্রশ্নের সম্ভাবনা হেলায় উড়িয়ে ছিলেন। তবু সংসদের এথিক্স কমিটি বহিষ্কার করে তাঁকে। বহিষ্কারের পর মহুয়া বলেছিলেন, ফিরে আসবেন। এলেন। জনতার দরবারে ধুয়ে মুছে সাফ হল 'দেশদ্রোহী'র ছাপ্পা।