দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসকাল সকাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বাজার করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বেল আর তরমুজ কিনলেন বর্ধমান শহরের কার্জনগেটের কাছে বিসি রোডের ফুটপাত থেকে একটি তরমুজ আর একটি বেল কেনেন দিলীপ। সাতসকালে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। সকাল সকাল হঠাৎ ফল কিনতে গেলেন কেন? দিলীপের জবাব, ‘‘বেল আর তরমুজ কিনলাম। গরমের ফল। শরীর ভাল থাকে।’’ তার পর বেল হাতে মুচকি হেসে তিনি বলেন, ‘‘ভাবছি কার মাথায় ভাঙব।’’ বিজেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। শাসকদলের কটাক্ষ, ‘‘দিলীপ বুঝতে পেরেছেন উনি হারবেন। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে ওঁর মতিভ্রম হয়েছে। তাই নানা কুকথা বলছেন।’’
কমিশনের শোকজ, দলের বকা, কোনও কিছুতেই যে তাঁর কিছু এসে যায় না, আবার প্রমাণ করলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলছে, হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে মতিভ্রম হয়েছে। তাই কুকথা বলছেন।
এদিন চা চক্রের আসরে তিনি বলেন,"এসএসসি বলে দিয়েছিল আমরা বাছবিচার করতে পারব না, রেকর্ড নেই। প্রধানমন্ত্রী যেই বললেন ন্যায্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন, প্রয়োজনে কোর্টে যাবেন, ঠিক তার দু'ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি বলল আমরা ঠিক রেকর্ড জমা দেব। সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয়ই এই মামলার দ্রুত বিচার করবে।"
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, তিনদফা ভোটের পর তৃণমূলের মনোবল তলানিতে ঠেকেছে। তিনি বলেন, "লড়াইটা পাল্টে গেছে এখন। লড়াই এখন ময়দানে নেই, অফিসে লড়াই শুরু হয়েছে। হার নিশ্চিত জেনেই ওদের মনোবল ভেঙে গেছে। বর্ধমান দুর্গাপুরে মমতা ব্যানার্জি ১৮ দিন থাকবেন। গোটা রাজ্যে ভোটে ১৮ টা সিট পাবেন তো?"
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "বিজেপি হল মারদাঙ্গা করার পার্টি। দিলীপ ঘোষ হলেন সেই দলের নেতা। তাই উনিও মারপিটের কথাই বলছেন। ভোটে হারার ভয়ে আস্ফালন দেখাচ্ছেন।"