দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ১১ নভেম্বর নন্দীগ্রামের একটি জনসভায় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কারামন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিল বিজেপি পরিষদীয় দল। আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় পরে এবং দ্রৌপদী মুর্মুর স্টিকার জামায় সেঁটে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানে পৌঁছেই তাঁরা বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন। পাশাপাশি মন্ত্রী অখিলকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতেও সোচ্চার হন বিজেপি বিধায়করা।প্রসঙ্গত, অখিলক গিরি কে অপসারণের দাবি নিয়ে আগেই রাজ্যপালের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর বিজেপি বিধায়কদের এক এক করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়। বেলা ১২টা নাগাদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার কক্ষে চিৎকার করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তৃণমূলের মহিলা বিধায়কগন বিজেপির এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে অখিল বাবুর এই মন্তব্যকে হাতিয়া করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির, অখিলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় নালিশ থেকে আদালতে মামলা রুজু— সবই করা হয়েছে বিরোধী শিবিরের তরফে। দলীয় ভাবে এই মন্তব্য তৃণমূল সমর্থন করে না জানালেও বিতর্ক থেমে থাকেনি। অখিল ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব আনবেন বলে জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। প্রসঙ্গত, এ ঘটনার পর ১৪ নভেম্বর দলের তরফে প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর মতে, ‘‘কোনও মানুষের রূপ-রং নিয়ে তাঁকে বিচার করা যায় না।’’ রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে যে মন্তব্য করেছেন অখিল, তার জন্য দলের তরফে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি, ঘটনার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অখিলের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির আর তার জেরেই মুলতুবি প্রস্তাব এনেছে তারা।